শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছাপত্র শাইখ সিরাজ একজন জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত ব্যক্তিত্ব, যাঁর বহুবিধ পরিচয় আছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিবর্তনের একটি বিশেষ মুহূর্তে তাঁর আবির্ভাব। দেশজ আয়ে কৃষিখাতের অবদান যখন কমে যাচ্ছে, এমন একটি সময়ে এ খাতের অপার সম্ভবনাকে তিনি জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। কৃষির বহুমুখীকরণ, অপ্রচলিত পণ্যকে জনপ্রিয়করণ, কৃষির আধুনিকায়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রশেড়ব, বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে দেশে আত্মীকরণ, নগরজীবনের সঙ্গে প্রকৃতির সহযোগসহ আরও বহু বিষয়ে তিনি অবদান রেখেছেন। এসব কাজের মাধ্যমে তিনি কৃষিখাতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে, তিনি তরুণ সমাজকে আধুনিক কৃষিকাজে যুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং তাঁদের উপযুক্ত সম্মান পাওয়ার দাবিকে সোচ্চার করেছেন। শাইখ সিরাজ জাতীয় নীতি নির্ধারণ প্রμিয়ায় সবিশেষভাবে অবদান রেখেছেন। কৃষক সমাজের প্রত্যাশা ও প্রাপ্যগুলোকে নজরে আনতে তিনি অব্যাহতভাবে বাজেটের আগে ও পরে নীতিসংলাপ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখা ও জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ফলপ্রসূভাবে ব্যবহার করেছেন। এক কথায়, বাংলাদেশের উনড়বয়ন সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে, গণমাধ্যমের বিকাশে সফল অগ্রণী হিসেবে এবং কৃষি নীতিপ্রভাবক হিসেবে তিনি জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রেখেছেন। শাইখ সিরাজের ৭০তম জন্মদিনে তাঁর কর্মময় দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
শিক্ষা ও সাহিত্যের প্রতি প্রকৃত অনুরাগ এবং বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাধারার প্রতি যার প্রবল ঝোঁক। জন্ম ১৯৮০ সালের ২রা নভেম্বর; চাঁদপুর জেলার বৃহত্তর মতলব উপজেলায়। মা বেগম রোকেয়া আক্তার এবং বাবা আশেক উল্লাহ প্রধান। পড়ালেখা করেছেন, মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতলব জে.বি. সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ, ঢাকা তেজগাঁও কলেজ, কুমিল্লা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে। তার পড়ালেখার ক্ষেত্র বৈচিত্র্যময়; রসায়ন, ইংরেজি সাহিত্য, শিক্ষণবিজ্ঞান, শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা। কিছুকাল উদ্ভিদবিজ্ঞান, আইন, বাংলা সাহিত্যও পড়েছেন। তিনি মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম, কথাসাহিত্য রচনা, পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা, সাংবাদিকতা, রিসার্চ মেথডলোজি বিষয়ে কোর্স ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। শিক্ষকতা করেছেন প্রায় এক যুগ—একটি ইংরেজি ভার্শন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেখান থেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষকতার ইতি টানেন। তিনি নন-ফিকশনের পাশাপাশি ফিকশনেও সমান স্বচ্ছন্দ। বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য পাতায় নিয়মিত তার গল্প, বুক রিভিউ, অনুবাদ প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এডুকেশন থেকে এমফিল থিসিস করছেন। বৃশ্চিক রাশির জাতক এই লেখক পরিবার ও বন্ধু-পরিসরে ‘রাসেল’ নামে সমধিক পরিচিত। তিনি স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও দুই কন্যা প্রান্তি, প্রার্থনাকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।