মুসলিম উম্মাহর জন্য মহান দিশারী ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রা) যে কত বড় বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন তা লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব না।রাসূল (স) বলেছেন, আমার পরে যদি নবী হত, তবে তা হতেন ওমর। আরো বলেছেন, যেদিক ওমর যায় সেদিক থেকে শয়তান পালায়, যেদিক ওমর যায় সেদিক হতে বাতিল পালায়। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে এই ওমরই তরবারি নিয়ে রাসূল (স) কে মারতে বের হয়ে উল্টো ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। রাসূল (স) হযরত ওমর ও আবু জাহেলকে ইসলামের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালা হযরত ওমরকে ইসলামের জন্য কবুল করেন। হযরত ওমরের (রা) ইসলাম গ্রহণের পর প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দেয়া শুরু হয়। হযরত ওমর (রা) ইসলামের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাই তার জীবনী পাঠ করা প্রতেকের জন্য বিশেষ জরুরী। bবইটির সূচিপত্রের কিছু অংশ:/bbr* জন্ম ও বংশ পরিচয় br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর শৈশব ও কৈশাের কাল।br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর যৌবন কালbr* ইসলাম গ্রহণের পূর্বে হযরত ওমর (রদিঃ) br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ br* ইসলাম বিরােধিতায় আবু জাহলের বক্তৃতা br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর মদীনায় হিজরতbr* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর আমলে আযান ব্যবস্থা প্রবর্তন br* যুদ্ধের ময়দানে হযরত ওমর (রদিঃ)-এর ভূমিকা br* হযরত ওমর (রদিঃ) এর বিভিন্ন জিহাদে অংশগ্রহণ br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর মর্যাদা br* মহানবীর ইন্তেকালে হযরত ওমর (রদিঃ)br* ইসলামের প্রসারের জন্য বিভিন্ন যুদ্ধাভিযানbr* পারস্য বিজয়br* জঙ্গে জসর বা সেতুর যুদ্ধbr* বুয়াইবের ঘটনা bবইটির সূচিপত্রের কিছু অংশ:/bbr* জন্ম ও বংশ পরিচয় br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর শৈশব ও কৈশাের কাল।br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর যৌবন কালbr* ইসলাম গ্রহণের পূর্বে হযরত ওমর (রদিঃ) br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর ইসলাম গ্রহণ br* ইসলাম বিরােধিতায় আবু জাহলের বক্তৃতা br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর মদীনায় হিজরতbr* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর আমলে আযান ব্যবস্থা প্রবর্তন br* যুদ্ধের ময়দানে হযরত ওমর (রদিঃ)-এর ভূমিকা br* হযরত ওমর (রদিঃ) এর বিভিন্ন জিহাদে অংশগ্রহণ br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর জীবনের বিভিন্ন দিক br* হযরত ওমর (রদিঃ)-এর মর্যাদা br* মহানবীর ইন্তেকালে হযরত ওমর (রদিঃ)br* ইসলামের প্রসারের জন্য বিভিন্ন যুদ্ধাভিযানbr* পারস্য বিজয়br* জঙ্গে জসর বা সেতুর যুদ্ধbr* বুয়াইবের ঘটনা
জন্ম: বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর থানাধীন ঘি-গড়া গ্রামে ১৯৬৫ সনের ২৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।পিতা মরহুম নূর মোহাম্মদ হাওলাদার,মাতা আনোয়ারা বেগম। শিক্ষা জীবন : প্রাথমিক শিক্ষা পিতার থেকেই গ্রহণ করেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সমাপ্ত করেন। এরপর ১৯৭১ সনে চতুর্থ শ্রেণীতে মাদরাসায় ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করে ১৯৭৭ সনে বৃত্তি সহ দাখিল পাস করেন। ১৯৭৯ সনে আলিম ও ১৯৮১ ফাযিল এ উভয় জামায়াতে বৃত্তী সহকারে উত্তীর্ণ হন।সর্বস্তরের পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করায় বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ১৫/২/১৯৮২ তারিখে পত্র নম্বর ৪৭৪/৩৩/এ - ১৪ অনুযায়ী বৃত্তি শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির মর্যাদা লাভ করেন। তার সার্বিক ওস্তাদ মরহুম মাওলানা জায়নুল আবেদীন এর পরামর্শে চরমোনাই কামিল মাদরাসায় ভর্তি হয়ে ১৯৮৩ সনে কামিল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। আর মান উন্নয়ন ও প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি ছাত্র জীবন থেকেই কুরআন তেলাওয়াত, কবিতা আবৃত্তি, বই পুস্তক লেখার ও বাংলা, আরবি, উর্দু এবং ফার্সি কবিতা লিখেছেন। অনেক বইয়ের অনুবাদ ও করেছেন। তার কবিতা ও লেখার অধিকাংশই রুহানিয়াতে ভরা হওয়ার কারণে রুহানী কবি খেতাব প্রাপ্ত হন। কর্ম জীবন: ছাত্র জীবন থেকেই তার প্রতি অনেক মাদরাসা হতে শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব আসে। কামিল শেষ করেই ১৯৮৩ সনে নওপাড়া ফাযিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে বরগুনা মোকামিয়া মাদরাসার কতৃপক্ষ তাকে বিশেষ অনুরোধ করে মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ দেন। চরমোনাইর কামিল মাদরাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা জহুরুল হক সাহেব তার ১৯৮৩ সনের কামিলের রেজাল্ট এর প্রতি প্রভাবিত হয়ে তাকে চরমোনাই মাদরাসায় আনার জন্য চেষ্টায় থাকেন। কিন্ত মাদরাসার পদ শূন্য না থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৭ সনে চরমোনাই মাদরাসার আরবি প্রভাষকের শুন্য পদ হওয়ায় তাঁকে যোগদানের জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন। কিন্ত তখন তার বিবিধ অসুবিধার কারণে যোগদান সম্ভব না হওয়ায় ১৯৯২ সনের মার্চ মাস থেকে বর্তমান (২০২১) পর্যন্ত আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন এবং এখন পর্যন্ত (২০২১) নিয়োজিত আছেন। উল্লেখ্য যে,উক্ত সময়ের মধ্যে ঝালকাঠী জেলার নেছারিয়া কামিল মাদরাসা ও পিরোজপুর জেলার ছারছীনা কামিল মাদরাসায় নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন,তাকে চরমোনাই মাদরাসার কর্তৃপক্ষ ছাড়তে রাজি হননি। ২০১১ সালে চরমোনাই মাদরাসার অধ্যক্ষের পদ খালি হলে বর্তমান পীর রেজাউল করিম সাহেব ও মুফতী ফয়জুল করিম সাহেব হুজুর তাকে অধ্যক্ষের পদে যোগদানের বিশেষ অনুরোধ করেন। কিন্ত, তিনি অল্পেতুষ্ট ও লিখার কাজে বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনায় উক্ত প্রস্তাবে রাজি হননি। লেখালেখির ক্ষেত্রে তার বিশেষ দক্ষতা থাকায় ছাত্র জীবন থেকেই বর্তমান পর্যন্ত ১০০০ - এর উপরে বই রচনা করেন। এমন কি তার আরবি ভাষায় লিখিত طريق النعيم"তরীকুন্নাইম" বইটি পবিত্র মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয়। "ইসলামি জীবন" নামে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক লেখা দিয়ে প্রতি মাসে বই আকারে প্রকাশ করে ইসলামের প্রচার প্রসারের জন্য বিনা মূল্যে বিতরণ করেন। এ সংখ্যা বর্তমানে ৮০ তে দাঁড়িয়েছে আর বইয়ের সংখ্যায় প্রায় দশ লাখের অধিক। লেখকের রচিত গ্রন্থাবলী তারই স্নেহধন্য ছাত্র "মাওলানা মাহমুদ হোসাইন সেলিমের প্রতিষ্ঠিত মাহমুদ পাবলিকেশন্স এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে। তিনি মুসলিম উম্মাহ এর জন্য তার বইয়ের কোন রয়েলিটি বা স্বত্ব মালিকানা না রেখে ইসলামের প্রচার প্রসারের জন্য ওয়াকফ করে দেন। ২০০৩ সালে শিক্ষকতার পেশায় অতি সন্মানের খ্যাতি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কতৃক শ্রেষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষক বিবেচিত হন। এ সালেই তিনি পবিত্র হজ্জ পালন করেন। তার কর্মময় জীবন রুহানিয়াতে ভরপুর হওয়ার কারণে তিনি রুহানী শায়েখ নামে পরিচয় লাভ করেন। তিব্বে নববী বিশেষজ্ঞ: তিনি মহান আল্লাহর দয়ায় প্রতি জুম্আ বার অসংখ্য মানুষকে তিব্বে নববীর নমুনায় চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। এমনও নমুনা রয়েছে যে, তার চেহারার দর্শন ও তদবীরে অসংখ্য পাগল ও বোবা রোগীর রোগ ভাল হয়েছে। মাদরাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা: রুহানী শায়েখ নিজে ও তাঁর ছাত্রদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ --২৫ টি মাদরাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তার চার পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।