* আম্মা শরিফ কোনো পিরের ধার ধারি না বুনি না বিশ্বাস জিন্দেগীর আমার কাছে আম্মা হলেন সকল পিরের বড়পির গর্ভধারণের বাইনে তুলে ধ্যানগ্রস্তের মুরিদ ফুল মাথার ওপর ছাতা হন আশ্রিত এই জগতকূল মদিনা বা কাবার চেয়ে পবিত্রতম আসনখানি দুধ তিয়াসের প্রার্থনাতে প্রথম কিবলা আম্মা জানি ওইখানেই হিজরত করি চার পায়ে ভর জন্মভূমি জমজমের ঝরনা নামাই পবিত্রতার আবাস চুমি মসজিদ মন্দির গির্জা বলো নয়তো কিছু তাঁর সমান চরণ তলে বিছানো তার স্বর্গখানার ফুলবাগান ওই জায়গাতেই আদায় হয় নবিকূলের দুরুদ—সালাম আল্লাতালার প্রতি একটি তিরিশ পারা পাক কালাম কোরান, গীতা, বাইবেল বলো কিবা যুগের কিয়াসগুলি তাঁর শরীরী ভাষায় ফোটে জীবন—মরণ ধ্যানবুলি জবান থেকে ঝরে সহিহ জীবন রাঙা আয়াতপাতি মক্তবের ওই সুরার মতো মুখস্থ করে হৃদয়ে গাঁথি মন দিঘালে বাইন্ধা রেখে কোল বাছুর দেন ছড়াই আকাশপানে ঘুড়ির মতো দূরন্ত সব স্বপ্ন উড়াই হাসির মতো সুন্দর কোনো এই ভূমিতে ফুটেনি ফুল এমন সুর পায়নি কেউ মধুর চেয়ে এমন অতুল চোখ দুটি মায়ার পুকুর সকাল বিকাল ডুবে রই স্নেহের জলে সাঁতার কেটে অসুখ—বিসুখ মুক্ত হই চরণে তার কাঁটা গাঁথে শত দুঃখ—ফুল ফুটে মুরগিছানার মতো হয়ে সুখগুলো যাই পিছে লুটে মায়াসাগরে লুটিয়ে পড়ি কদমবুসির ঢেউ জাগে জীবন পথের দিশা পাই রোশনাই জ্বলে মাতৃবাগে আঁচল তলে ভ্রান্ত জীবন ঘুমিয়ে যায় গানের মতো হাত বুলালেই ঝরে পড়ে দুঃখ—ব্যথার গভীর ক্ষত ওই নামে আকাশ বাতাস ফুল ও ফলের গন্ধে তারিফ আল্লা রসুল পরে আমার তিনি হলেন আম্মা শরিফ