১৯৯২ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ডেরেক ওয়ালকট মূলত কবি হলেও সফল নাট্যকার হিসেবেও তাঁর খ্যাতি কম নয়। যদিও কবিতার তুলনায় তাঁর লেখা নাটকের সংখ্যা অনেক কম। তাঁর রচিত স্বল্পসংখ্যক নাটকের মধ্যে ড্রিম অন মাঙ্কি মাউন্টেন সবচেয়ে বেশি পরিচিতি ও খ্যাতি লাভ করেছে। ১৯৭০ সালে নাটকটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি টিভিতে প্রদর্শিত হয়ে দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। বছরের সেরা নাটক হিসেবে অর্জন করে নেয় অফ-ব্রডওয়ে থিয়েটার পুরস্কার। ১৯৭২ সালে ডেরেক ওয়ালকট অর্জন করেন অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদবি। ক্যারিবীয় অঞ্চলের সেন্ট লুসিয়া দ্বীপে জন্মগ্রহণকারী এই কবি-নাট্যকারের লেখা নিয়ে আমাদের দেশে অত্যন্ত সীমিত এবং নোবেল প্রাপ্তির পর খানিকটা বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হলেও, তাঁর নাটক নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা ছিল না। অথচ কবিতার পাশাপাশি তাঁর নাটকও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা ও সমীক্ষার দাবি রাখে। তবে ওয়ালকটের কবিতা কিংবা নাটক যাই হোক না কেন, তা বোঝার জন্য তাঁর সামগ্রিক সাংস্কৃতিক প্রতিবেশ ও জাতিসত্তার পটভূমি সম্যকভাবে উপলব্ধি করা জরুরি। এ নাটকে কবি-নাট্যকার ডেরেক ওয়ালকটের এক মুক্তিকামী, রোমান্টিক মানসের পরিচয় সুস্পষ্ট। অত্যাচারিত মানুষ একসময় নিরুপায় হয়ে বিদ্রোহ করে, এই অমোঘ ঐতিহাসিক সত্যও তিনি নাটকের অন্যতম প্রধান চরিত্র মুসতিকের জবানিতে বলেছেন। ড্রিম অন মাঙ্কি মাউন্টেন বিভক্ত জাতি মানসিকতার এক নিখুঁত নাট্যচিত্র।