পরবাসে দীর্ঘ কর্মজীবন খাঁচায় বন্ধী পায়রার মত নিজের ভাষাটা অন্তরর ব্যাকুল আকুতিতে দুই ডানায় উড়াল দিয়ে মুক্ত হতে চাইতো। ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনের এক শিক্ষা বিভাগে ২৩ বছরের কর্মব্যস্ত জীবন অতিবাহিত হয়েছে বলে, লেখালেখিত মাধ্যমে হিসেবে নিজের ভাষা ব্যহারের সুযোগ ছিল না। অথচ মার্তৃভাষার ভিত্তিটা আমার মধ্য্র বাল্যকাল থেকেই দৃঢ়। শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনের সূত্রে লেখালেখির কাজটি এ সময়ও করতে হয়েছে পুরোদমে, তবে তা ছিল কল্পনা ও ভাবাবেগ বর্জিত! নিয়ম-নীতি, বিধিমালা, ডেটা এনালিসিস, নিজের বিভিন্ন এডুকেশন প্রজেক্টের জন্য প্রস্তাব তৈরি করা, (বিড) ইত্যাদি দায়ীত্বে বাধা ছিলাম। কাজের ও লেখার মাধ্যমে ইংরেজি, মনের খোরাক পূরণ হবার সুযোগ ছিল না! London এর Camden Education Authority, ২০০০ সালে আমার রিসার্চের অংশ বিশেষ, Bangladesh A Country named after its language নামে একটি বই (টিচার্স রিসোর্স বুক) প্রকাশ করেছিল। যা স্বভাবতই তাঁদের ভাষায় ছিল। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডে যাবার পূর্ব পর্যন্ত তখনকার কয়েকটি ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেছি। এর মধ্যে ললনা, বিচিত্রা এবং রোববার ম্যাগাজিনগুলো ছিল। এখন একটু অবসর নিয়ে, এ পাণ্ডুলিপিটা শেষ করলাম। প্রত্যাশা করি যে, পাঠকরা তা সাদরে গ্রহণ করবেন।