শায়খ খালিদ ইয়াসিন একজন বিশ্বখ্যাত ইসলামিক বক্তা ও লেখক। তিনি ১৯৪৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের এক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নয় ভাই-বোনের সংসারে আর্থিক অনটনের কারণে তিন থেকে পনের বছর বয়স পর্যন্ত পালক পুত্র হিসেবে তিনি লালিত-পালিত হন। ১৯৬৫ সালে শায়খ খালিদ ইয়াসিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কয়েকজন শিক্ষক ও মেন্টরের কাছে কুরআন, হাদিস, ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি ও আরবী ভাষা ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক লেখাপড়া ও গবেষণা করেন। শায়খ খালিদ ইয়াসিন বিগত পঁয়ত্রিশ বছর ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে বিকৃতি ও ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। দাওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে তিনি 'ইসলামিক ব্রডকাস্টিং করপোরেশন লিমিটেড'-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন পরিচালনা করেছেন। শায়খ খালিদ ইয়াসিন বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার সিটিতে বসবাস করছেন এবং দাওয়াহ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বিশ্বব্যাপী তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও পরিচিতি রয়েছে। 'ওমান ট্ৰিবিউন' শায়খ খালিদ ইয়াসিনকে 'লার্নড স্কলার' হিসেবে উল্লেখ করে। ইউটিউবে তাঁর অসংখ্য বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রয়েছে। বিশ্বখ্যাত ইসলামিক বক্তা ও লেখক শায়খ খালিদ ইয়াসিন ১৯৬৫ সালে খ্রিষ্ট ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কুরআন, হাদিস, ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি ও আরবী ভাষা ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক লেখাপড়া ও গবেষণা করেন এবং দাওয়াহ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হন। শায়খ খালিদ ইয়াসিন পাশ্চাত্যে অবস্থান করে ইসলাম ও আধুনিকতার মধ্যকার নানান বিতর্কের বিষয়গুলো প্রত্যক্ষ করেন এবং বিগত পঁয়ত্রিশ বছর তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে বিকৃতি ও ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাপী ৯৯টিরও বেশি দেশে বক্তব্য দিয়েছেন। ইসলামের নানাবিধ বিষয়ে সম্মোহনী ভঙ্গিতে দেওয়া তাঁর বক্তব্য শুনে ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ সরাসরি তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। একজন বক্তা ও লেখক হিসেবে বিশ্বব্যাপী শায়খ খালিদ ইয়াসিনের ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে তেমন একটা পরিচিত নন। তাই তাঁর চিন্তা ও বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাভাষী মানুষের পরিচিতি ঘটানোর লক্ষ্যেই বর্তমান গ্রন্থের অবতারণা করা হয়েছে। আশা করি, গ্রন্থটি পড়ে পাঠক ইসলামের নানাবিধ বিষয়ে শায়খ খালিদ ইয়াসিনের প্রজ্ঞাপ্রসূত চিন্তা জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন ।