বইটির সংকলিত নিবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে দেশে কম্পিউটার বিকাশের অগ্রযাত্রায় সরকার, ট্রেডবডির ভূমিকার বাইরেও সমকালীন ভাবনা, ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে পরামর্শ ও এর বাস্তবায়নের নানা বিষয়। এ দেশের কম্পিউটার বিপ্লবের জাতীয় বীর হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কম্পিউটারের অভিযাত্রার কথাও বাদ যায়নি বইটিতে। ইথিওপিয়ার পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের অভাবনীয় ঘটনা তুলে আনা হয়েছে বইটিতে। একুশ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা ও অর্জনসমূহ সবিস্তারে তুলে আনা হয় বইটিতে। তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা, আউট সোর্সিং শিল্পের বিকাশ ও ধারণা, নির্দেশিকা, ডিজিটাল যুগের পেশার বিবর্তন, কপিরাইট কী এবং মেধা সম্পদ রক্ষায় এর অপরিহার্যতা, ডিজিটাল সংসদের প্রয়োজনীয়তা, ডিজিটাল নির্বাচন, ডিজিটাল সন্ত্রাস চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার ইত্যাদি তুলে আনা হয়েছে এই বইটিতে। ‘ডিজিটাল শিল্পযুগ’ বইটির নির্বাচিত নিবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে অ্যাপল কম্পিউটারের উদ্ভাবক স্টিভ জবসের জীবনালেখ্য। স্টিভ প্রমাণ করে গেছেন মেধার চেয়ে মূল্যবান সম্পদ আর কিছু হতে পারে না। বাদ যায়নি একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল বাংলাদেশ কেমন হবে এবং কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ক কালোত্তীর্ণ ভাবনা ও পরামর্শ। আমার বিশ্বাস আজকের প্রজন্মের ‘ডিজিটাল শিল্পযুগ’ কম্পিউটার বিকাশের ইতিহাস হিসেবে কম্পিউটার শিল্পের বিকাশে মাইলফলক ভূমিকা পালন করবে এবং এটাই ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে আমার ৩৫ বছরের কাজের স্বার্থকতা।