আমীনূর রশীদ চৌধূরী, এক ক্ষণজন্মা পুরুষের নাম। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। রাজনীতি থেকে সাহিত্য সর্বক্ষেত্রেই ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। ব্রিটিশ আমলে উপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও ছিলেন আপোসহীন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার কারণে বারবার কারাযন্ত্রণাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে। তারপরও সত্য ও সুন্দরের পথে তিনি ছিলেন অবিচল। ঝড়-ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে এগিয়ে গেছেন আগামীর দিকে। বন্ধুর পথ তিনি অতিক্রম করেছেন অসীম সাহসিকতায়, দৃঢ় মনোবলে। পেছনে ফিরে তাকাননি। মাথা নত করেন নি কখনো কারো কাছে। ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। সংঘাতের সাথেই ছিল তাঁর সখ্য। তবে সেই লড়াই তিনি নিজের জন্য করেন নি, করেছেন অধিকার বঞ্চিতদের জন্য। ছাত্রজীবনে ইংরেজদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। ঝাঁপিয়ে পড়েন পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির সংগ্রামে। মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বদেশী আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেন। আর সহিংস বিপ্লবের পথ বেছে নিলে অবর্ণনীয় নির্যাতন-দুর্ভোগের শিকার হতে হয় তাঁকে। ইংরেজদের জেলে কাটাতে হয় দুই বছরেরও অধিক সময়। তারপরও চলার পথের গতি মন্থর হয়নি তাঁর; বরং হয়েছে
কবি, সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অপূর্ব শর্মার জন্ম মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার হরিনাকান্দি গ্রামে। কবিতার মাধ্যমেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও ২০০৬ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শুরু করেন গবেষণা। ২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অমর একুশে বইমেলায় তার প্রথম গবেষণাগ্রন্থ ‘অনন্য মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি’প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত গ্রন্থ ১৪ টি। এরমধ্য চারটি গ্রন্থ অনুবাদ হয়েছে ইংরেজি ভাষায়। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে ১৮টি গ্রন্থ। কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ইতোমধ্যে ‘সিলেটের যুদ্ধাপরাধ ও প্রাসঙ্গিক দলিলপত্র’গ্রন্থের জন্য ২০১০ সালের এইচএসবিসি কালি ও কলম পুরস্কার এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে ২০১৩ সালে লাভ করেন বজলুর রহমান স্মৃতিপদক। ২০১৮ সালে গবেষণা কর্মের জন্য পেয়েছেন লীলানাগ স্মৃতিপদক। বাংলাদেশের প্রাচীন সংবাদপত্র দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা করছেন সাহিত্যপত্রিকা অভিমত। এছাড়াও মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল মুক্তিযুদ্ধ ডটকমের সম্পাদক তিনি।