সমর্থকরা ছড়িয়েছে। হক সাহেব বলেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে গান্ধীজিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন এবং এই কারণে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য এতদূর, হাইমচর গ্রামে ছুটে এসেছেন। বস্তুত হক সাহেব গান্ধীজির সঙ্গে দেখা করার পরই ঘরের বাইরে এসে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের জানান, গান্ধীজির সঙ্গে তাঁর সন্তোষজনক কথাবার্তা হয়েছে এবং গান্ধীজি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, শিগগিরই তিনি শান্তি মিশনে বিহারে যাচ্ছেন। এই ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয়, গান্ধীজি কত বড়মাপের মানুষ ছিলেন। উল্লেখ্য, নোয়াখালীর পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর গান্ধীজি বিহারে গিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগী হন। জওয়াহেরলাল নেহরুসহ অন্যান্য হিন্দু ও মুসলমান কংগ্রেস নেতা তাঁর সঙ্গে যোগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যে বিহারে শান্তি স্থাপিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর যখন কলকাতা শহরে আবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় এবং মুসলমানদের অবস্থা অত্যন্ত বিপন্ন হয়ে পড়ে, তখন গান্ধীজি কলকাতায় এসে শান্তি স্থাপনের জন্য যে মহৎ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, সেটা সত্যি অবিস্মরণীয়। এই সময় অবিভক্ত বাংলার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে পরিহার করে গান্ধীর সঙ্গে মিলিত হয়ে সাম্প্রদায়িক শান্তি স্থাপনের জন্য আত্মনিয়োগ করেন।