ভূমিকা : পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কলেজ জীবনে অর্থ উপার্জনের জন্য আমি লস অ্যাঞ্জেলসের একটি অভিজাত হোটেলে ওয়েটা রের স্বল্পকালীন কাজ করতাম। একজন প্রযুক্তি নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসার প্রায় সময় আমাদের হোটেলে আসতেন। তিনি একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন আমেরিকান ওয়াই-ফাই রাউটারগুলোর মূল উপাদান ডিজাইনার এবং পেটেন্ট অধিকারী ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি কোম্পানি গঠন করেন এবং পরবর্তীতে বিক্রি করে দেন। তিনি অত্যন্ত সফল প্রকৌশলী ছিলেন। তবে, তিনি অপব্যয়ী ছিলেন। প্রায় সময় ডিনারে এক হাজার ডলার খরচ করতেন। যা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি তার বন্ধুদের কাছে সম্পদ জাহির করতেন। তিনি প্রকাশ্যে এবং উচ্চৈঃস্বরে তার সম্পদ নিয়ে বড়াই করতেন। প্রায় সময়ই মাতাল অবস্থায় হোটেল থেকে বের হতেন। একদিন তিনি আমার এক সহকর্মীর হাতে নগদ কয়েক হাজার ডলার দিয়ে বললেন— রাস্তার পাশে গহনার দোকানে যাও এবং আমার জন্য কয়েক ডলার মূল্যের ১,০০০টি সোনার কয়েন কিনে আনো । এক ঘণ্টা পর, হাতে সোনার কয়েন নিয়ে প্রকৌশলী এবং তার বন্ধুরা প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে প্রমোদতরীতে জড়ো হয়। তারপর, তারা কয়েনগুলোকে একটি একটি করে পাথরের মতো সমুদ্রে ফেলতে শুরু করল। এতেই তাদের আনন্দ। এটা শুধুই মজা -মাস্তি আর উপভোগ করার জন্য । কয়েকদিন পর হোটেলের রেস্তোরাঁয় একটি বাতি ভেঙে দে তিনি। ম্যানেজার তাকে বললেন যে, বাতিটির মূল্য ৫০০ ডলার এব তাকে এর মূল্য পরিশোধ করতে হবে।