ভূমিকা ব্যবসায়ে সফলতার সুযোগ জীবনে একবারই আসে। যেমন, ভবিষ্যতে যে বিল গেটস আসবে সে কিন্তু অপারেটিং সিস্টেম বানাবে না। ভবিষ্যতের ল্যারি পেইজ বা সার্গেই ব্রিন কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন বানাবে না। ভবিষ্যৎ মার্ক জুকারবার্গ কিন্তু একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বানাবে না। আপনি যদি এদেরকে অনুকরণ করেন, তবে আমি বলব আপনি এদের থেকে কিছুই শিখছেন না । ভবিষ্যৎ মার্ক জুকারবার্গ কিন্তু একটি সামাজিক যোগাযোগ সাইট বানাবে না। আমি তো বলব ভবিষ্যতে কোনো মার্ক জুকারবার্গই আসবে না। যখন বিশ্বের এক নম্বর কোটিপতি রূপে বিল গেটস ছিলেন, তখন অনেকেই জানতে চেয়েছে এর পরের বিল গেটস কে আসবে? আসলে কি বিল গেটস এসেছে না। এসেছে জেফ বেজোস, ল্যারি পেজ, সার্গে ব্রিন, মার্ক জুকারবার্গ, জ্যাক মা। তাহলে ভবিষ্যতে কে আসবে? কী নিয়ে আসবে? আমি বলি, হয়তো আপনি আসবেন। হয়তো আপনি এমন কোনো উদ্যোগ নিয়ে হাজির হবেন যা কেবল দেশের সমস্যাই সমাধান করবে না; বরং সারা বিশ্বের সমস্যা সমাধান করবে। বিশ্বকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেবে। বিশ্বের সফল ব্যক্তিদেরকে আপনি দেখবেন, তাদের উদ্যোগ ও পদ্ধতিগুলো থেকে শিখবেন; আর নিজের পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করবেন। এমন কোনো বুদ্ধি বা ধারণা সেই পদ্ধতির সাথে যোগ করুন যা আপনার উদ্যোগকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে। তবে অবশ্যই প্রথমে আপনার উদ্যোগটিকে স্থানীয় কোনো সমস্যার সমাধান করতে হবে। যেমন বিল গেটস, তিনি তার এক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুর সাথে মিলে অপারেটিং সিস্টেম নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তার কারণ ছিল তখনকার দিনে কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম ছিল না। এজন্য প্রচুর সময় ব্যয় হতো। তাই এই সমস্যার সমাধানে বিল গেটস অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে এগিয়ে আসেন। তারপর জুকারবার্গ যখন হার্ভার্ডে পড়ালেখা করছিলেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ করার।