সমাজকে বদলাতে হলে বই পড়ে নিজেকে আগে গড়ে তুলতে হবে। বই একদিকে যেমন আনন্দ পাঠ, তেমনি সমাজ বদলের শিক্ষাও বই থেকে সম্ভব। একটি বই-ই মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে এমন গল্প কিন্তু কম নয়। প্লেটো, অ্যারিস্টটল, ভলতেয়ার, রুশো, কান্ট, হেগেল, মার্·সহ অনেকের বই সমাজ পরিবর্তনে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু বাড়ি বাড়ি বই পৌঁছে দেওয়ার মতো কার্যক্রম বা বই পড়াতে নানা তৎপরতা থাকার পরও আমাদের নতুন প্রজন্মের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ শোনা যায় তারা বই বিমুখ। তারা পড়ে থাকে প্রযুক্তিতে, ইন্টারনেটে। সর্বনাশা গেমস বা কার্টুনে। এই অভিযোগ কতটা সত্যি? প্রতিবছর হাজার হাজার বই প্রকাশিত হয়। কিন্তু যেসব কারণে কিশোর-তরুণদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলা হচ্ছে তার জন্য কিন্তু অভিভাবকরাই বেশি দায়ী। কারণ একটা শিশু যখন বড় হতে থাকে তাকে বইয়ের জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। সেখানে যদি মুঠোফোন বা ট্যাব জায়গাটা দখল করে নেয় তবে তার মনোজগত সেভাবেই বেড়ে উঠবে। অথচ শিশুকে রঙিন ছবির বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়। এভাবেই তার পড়ার প্রতি আগ্রহ জমবে। বই পড়ার অভ্যাসটা গড়া উচিত শৈশব থেকে। আর এখন নিজের ওজনের চেয়ে বেশি ওজনের বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে এই শিক্ষক থেকে ওই শিক্ষক দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত শৈশব। কাজেই পাঠ্যবইয়ের বাইরে জগৎটাই ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে আসে। আর তরুণ বয়সে তাদের মনোযোগ চলে যাচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া বা বিনোদন মাধ্যমগুলোর প্রতি। অথচ বইয়ের আনন্দ যে একবার পেয়েছে সেটা যে কতোটা নির্মল হতে পারে তা অনুভবের বিষয়। কবিগুরুর কথায়, ‘ভালো বই আত্মশুদ্ধির শ্রেষ্ঠ উপায়।’ লিও তলস্তয় বলেছেন ‘তিনটি জিনিস মানুষের জীবনে বিশেষ ভাবে প্রয়োজন, বই, বই এবং বই।’ সবশেষে একটি কথাই বলব, চলো বন্ধুরা বই পড়ি, নিজেকে গড়ে তুলি ভবিষ্যতের জন্য। যা আছে- আমাদের ফুল, আমাদের পাখি ফুলে-ফলে ও ফসলে ঋতু রাণী হেমন্ত/ তাহমিনা শিল্পী ০৮ বিজ্ঞানের আবিষ্কার ক্রিসপার : বিস্ময়কর জেনেটিক কাঁচি/ শামীম হাসনাইন ১৫ খেলতে শিখি নানান খেলা ডিমডিমা ডিম ডিম/ শ্যামলী কর্মকার ১৭ ঐতিহাসিক গল্প ভাটি বাংলার বাঘ গাজী শমসের/ শাহানারা স্বপ্না ২৬ চলো বড় হই (৪) বড় হওয়ার যত্তো কথা/ মহিউদ্দিন শিবলী ২৯ অবাক পৃথিবী টিলটেপেক অন্ধ বাসিন্দাদের এক আজব গ্রাম!/ আহমাদ স্বাধীন ৩১ স্মরণীয় বরণীয় বেগম সুফিয়া কামাল নারী ও মানবমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ নজরুল ইসলাম নঈম ২৩ ছোটদের গল্প শম্পা’র স্বাধীনতা/ আসলাম সানী ০৬ সাইকেল/ চন্দনকৃষ্ণ পাল ১১ রাজকুমারী ও দোয়েল পাখি/ ফজলুল হক মিলন ১৩ সুমনের ঘড়ি দেখা/ সেলিম আউয়াল ২২ মিতুর বন্ধু ফুলপরী/ মহসিন মানসুর ৩০
Moin Mursalin এ সময়ের উজ্জ্বল একনিষ্ঠ সাহিত্যকর্মী। তাঁর ধ্যান-জ্ঞান-বিচরণ-মননজুড়ে শুধুই সাহিত্য। তিনি একাধারে কবি, শিশুসাহিত্যিক, প্রকাশক, সম্পাদক ও সাহিত্য সংগঠক। জন্ম ১৯৮৪ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার মগবাজার মধুবাগ পিত্রালয়ে। শিক্ষাজীবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই মঈন মুরসালিন জড়িয়ে পড়েন সাহিত্যের সাথে। নিয়মিত লিখছেন জাতীয় দৈনিক, মাসিক, সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোতে। এ যাবৎ প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থ ১৭টি। কর্মজীবনের সূচনা প্রকাশনার মাধ্যমে। নিজস্ব মেধা মনন দিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘প্রতিভা প্রকাশ’ নামক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। প্রতিভা প্রকাশ থেকে এ যাবৎ প্রকাশিত হয়েছে চার শতাধিক গ্রন্থ। তিনি ২০০৬ সাল থেকে নিজ সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশ করেন ছোটদের পত্রিকা ‘কানামাছি’। এছাড়াও জড়িত আছেন বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে।