ভূমিকা নবাবগঞ্জ অঞ্চলের লিখিত কোনো পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস নেই। মহাকবি কায়কোবাদ ছাড়া অন্য কোনো বরেণ্য ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ জীবনী পাওয়া যায় না। অথচ এ অঞ্চলটি ইতিহাসপুষ্ট ও ঐতিহ্যমন্ডিত অঞ্চল। বাংলাদেশের মধ্যে যতগুলো উপজেলা আছে সর্বদিক দিয়ে বিবেচনা করলে ইহা একটি সেরা উপজেলা । কেননা মহাকবি কায়কোবাদের মতো ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ আগলা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। নবাবগঞ্জের ব্যাঘ্র চৌধুরী আসফ আলী বেগের হুঙ্কারে নবাবগঞ্জের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত কেঁপে উঠতো। তিনি গালিমপুরে ঘুমিয়ে আছেন। আর একজন সিংহপুরুষ রাজনীতিবিদ আবদুল ওয়াসেক। তাকে বলা হতো রয়েল বেঙ্গল টাইগার অব ইস্ট পাকিস্তান। ইংরেজ জাতি হোক ভারতীয় হোক কিংবা পাকিস্তানি হোক বাংলাদেশের (ইস্টপাকিস্তান) বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তিনি বাঘের ন্যায় ক্ষেপে যেতেন এবং প্রতিবাদ করতেন। এমনকি মোহম্মদ আলী জিন্নাকে তিনি ছেড়ে কথা বলতেন না। এই রয়েল বেঙ্গল টাইগার (ওয়াসেক মিয়া) নবাবগঞ্জের মসজিদের পাশে ঘুমিয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নবাবগঞ্জ ভ্রমণকালে তার কবর জিয়ারত করেন। নবাবগঞ্জের মাঠে বিশাল মিটিংয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বললেন ‘আমার রাজনৈতিক গুরু শুয়ে আছেন'।