এস এ এস/এস আর এ এস (প্রথম পর্ব) পরীক্ষা ‘অফিস ব্যবস্থপনা’ বিষয়টি নতুন সিলেবাস অনুযায়ী ২০২২ খ্রি. হতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি দপ্তর, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের দেশে চালু হয়েছে ডিজিটাল নথি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় হতে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত চালু করা হয়েছে জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলা টাইপিং কাজে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ইউনিকোড। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিবালয় নির্দেশমালা-২০১৪, সময়ের প্রয়োজনে, তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ এবং তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে অভিযোজনের লক্ষ্যে উক্ত নির্দেশনামালা যুগোপযোগী করার প্রয়াসে প্রণীত হয়েছে। বর্তমানে অফিসের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এস এ এস/এস আর এ এস (১ম পর্ব) পরীক্ষার্থীদের এ বিষয়ে নতুন সিলেবাস ও ২০২২ খ্রি. তারিখের প্রশ্নের আঙ্গিকে বইটি রচিত হয়েছে। বইটি পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার পাশাপাশি অফিসের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বইটি সম্পাদনায় মুদ্রণজনিত বা তথ্যগত ভুল থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। মূল বিধি বা আইনের সাথে বইয়ের উল্লেখিত কোনা তথ্যগত অসামঞ্জস্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মূল বিধি বা আইনটিই কার্যকর হবে এবং বইয়ে উল্লেখিত তথ্য তার কার্যকারিতা হারাবে। প্রন্থটির ভুল-ত্রুটি ও ইতিবাচক মন্তব্য দৃঢ়চিত্তে গৃহীত হবে লেখিকার মনন ও চিন্তাধারায়। লেখিকা : নাছিমা আনোয়ারা বেগম
জনাব নাছিমা আনোয়ারা বেগম, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার রসুলপুর গ্রামে ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মফিজ উদ্দিন এবং মাতা আয়েশা আক্তার। তাঁর বাবা সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। তিনি নান্দাইল পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হতে ১৯৯৩ সালে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ, নান্দাইল হতে এইচএসসি'তে প্রথম বিভাগে কৃতকার্য হন। তিনি আনন্দমোহন সরকারি কলেজ হতে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস (অর্থনীতি) বিষয়ে ২য় শ্রেণিতে পাশ করেন। তিনি ২০০১ সালে ডিটিসিবিতে জুনিয়র অফিসার পদে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৪ সালে সিএও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। সিএও অর্থ বিভাগ, সিএও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণা- লয়, সিএও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয়, সিএএফও, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করেন। তিনি বর্তমানে সিএএফও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর স্বামী মুহাম্মদ রেজাউল হক, মাননীয় প্রধান বিচারপতির সচিব (হাইকোর্ট) বিভাগে কর্মরত আছেন। তাঁর শ্বশুর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার কার্তিকখীলা গ্রামে। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জননী।