ক্যালকুলাস! উচ্চমাধ্যমিকে যারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়েছে, তাদের সবারই চিরচেনা বিষয়। কারো কাছে কৌতূহল, আবার কারো কাছে বিভীষিকা। কিন্তু সবার কাছেই এটা কড়ায় গন্ডায় নম্বর পাওয়ার সুব্যবস্থা, বুঝে হোক আর মুখস্থ করেই হোক! কিন্তু আমরা ভুলে যাই যে এই ক্যালকুলাস সভ্যতার অনেক গুরুত্ববহ একটি হাতিয়ার। এই বইটি ক্যালকুলাস শেখার জন্য নয়, বরঞ্চ নতুন করে অন্য আলোয় দেখার জন্য। কেউ ক্যালকুলাস প্রথম শিখতে চাইলে অন্য বই রয়েছে, কিন্তু এই বইটি তাদেরই জন্য যারা ক্যালকুলাসের অলিগলি নতুন করে আবার চিনতে চায়; বুঝতে চায় এর স্বরূপ। বাস্তব জীবনে ক্যালকুলাসের প্রায়োগিক উপযোগিতা নিয়ে আমরা এখানে জোর দিয়েছি। ক্যালকুলাসের মূল তাত্ত্বিক কাঠামো এবং ঐতিহাসিক পটভূমি বুঝে নিয়ে এর প্রয়োগের দিকটা আমরা তুলে আনবার চেষ্টা করেছি। ভৌতবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা, প্রকৌশলবিদ্যা, এমনকি অর্থনীতি, জনমিতি, স্বাস্থ্যকৌশল কিংবা জীববিদ্যার বিভিন্ন প্রয়োগে ক্যালকুলাস ব্যবহার করা হয়। সে-অর্থে আধুনিক জীবনের বহু কিছুই কলনবিদ্যা ছাড়া সমাধান করা যায়না। পদ্মা সেতুর নকশা, কিংবা চলন্ত গাড়ির ত্বরণ নির্ণয়, রকেট প্রপালশন, নদীর স্রোতের বিষয়, সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন মান নির্ণয়, গ্রহের গতি কিংবা কোমল-পানীয়ের ক্যানের নকশায় সর্বত্রই কলনের জয়জয়কার। অতএব, যাদের কলনবিদ্যা ভাল লাগে, কলনের রহস্য যারা জানতে চায় তাদের জন্যই এই বই।
বিজ্ঞান পড়েন ও পড়ান, বিজ্ঞান নিয়েই লেখেন ও চর্চা করেন। বাংলা একাডেমী থেকে বিজ্ঞান লেখালেখির জন্য পেয়েছেন “হালিমা-শরফুদ্দিন’ পুরস্কার। জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার সাথে জড়িত। কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি । শিক্ষকতা করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রকৃতি পরিচয় থেকে ইতিপূর্বে প্রকাশিত গ্রন্থ “থাকে শুধু অন্ধকার: মহাবিশ্ব ও ধীমান সত্তার ভবিষ্যৎ' (২০১৪) এবং “প্রাচীন মেলুহা: সিন্ধু সভ্যতার ইতিবৃত্ত' (২০১৫)