আঁধার-আলো মিলেই রাত-দিনের পালাবদল। আঁধারে মানুষ হারায়। পথ ভুলে—নিজেকে খোঁজে। আচ্ছা, যে জীবন আঁধারে হারায় তা কি কভু ফিরে আসে? হয়তো, ‘হ্যাঁ অথবা না।’ ডিপ্রেশন, হীনমন্যতা, দুশ্চিন্তা, একঘেয়েমি, বিষণ্নতা, মানসিক অবসাদ, অশৃঙ্খল জীবন-যাপন, এসবের যাঁতাকলে পড়ে—একটা জীবন কি অবেলায় ঝরে পড়ে! পড়ে হয়তো, কিংবা কখনও না। আচ্ছা, আফির জীবনটা কেমন ছিলো তাহলে? কতটা ভয়াবহ অন্ধকারে ডুবে ছিলো? কতটুকু অন্ধকারে ডুবে থাকলে একজন মানুষ—অশৃঙ্খল জীবন-যাপন, অবাধ মেলামেশা, নাইটক্লাব আর পার্টিতে পদচারণা, নামাজ—কালামের তোয়াক্কা না করে, গান-বাজনায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখে! একজন মুসলিম হয়েও স্যোশাল প্লাটফর্মে আসক্তি। নিকোটিনের ধোঁয়ার মতো, নিজের ঈমান উড়িয়ে দেয়া, ঈমান-আমল ভুলে, দুনিয়ার মোহ যে জীবনের শুদ্ধতার সবটুকু—গ্রাস করে নিয়েছে, সে জীবন থেকে কি, আফি ফিরতে পেরেছিলো? ভার্সিটির আদিল ছেলেটি কে? কী তার পরিচয়! হঠাৎ কীভাবেই বা এই ছেলের সঙ্গে আফির দেখা! আফির মনে ঘুরতে থাকা, যতসব প্রস্তাব কি সে মেনে নেবে? প্রিয় পাঠক, অবশ্যই মনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে! আফির প্রস্তাব সে ছেলেটি মেনে নিয়েছিল কি-না? কিংবা ফেরত দিতে পেরেছিলো কি-না সে ডায়েরি, যার মাধ্যমে এই অন্ধকার জগত থেকে আফির ফিরে আসা! যদি এমনটা না হয়, তবে গোটা একটি জীবন এভাবেই—অবেলায় ঝড়ে পড়েছিলো আফির? পেরেছিলো কি আঁধার হতে ফিরে আলোর পথে আসতে? সত্যিই কি হতে পেরেছিলো ‘শুদ্ধতম ফুল’! প্রিয় পাঠক, প্রশ্নের সবকটি উত্তরই 'আপনি আমার শুদ্ধতম ফুল' বইটিতে পাবেন।