গ্রন্থে যেসব আলোচনা রয়েছে- ১. ওয়াজ মাহফিল বা ইসলামি সেমিনার অন্য দশটা অনুষ্ঠান বা সভা-সমাবেশের মতো নয়। এর নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-নীতি ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আছে। সেই নিয়ম-নীতি অনুসরণ করলেই ওয়াজ মাহফিলের কাঙ্ক্ষিত ফায়দা পাওয়া যাবে। এই গ্রন্থে তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ২. যেকোনো সেক্টরে কাজ করার জন্য সেই সেক্টরের নির্দিষ্ট মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক। এজন্য শুধু কথা বলতে পারলেই ওয়ায়েজ বা বক্তা হওয়া যায় না। বরং কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করতে হয় এবং ওয়াজ করার শরয়ি মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হয়। একজন বক্তা কতটুকু যোগ্যতার অধিকারী হলে ওয়াজ করার শরয়ি মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে বিবেচিত হবে- বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ৩. ওয়াজ-নসিহতের মাধ্যমে যাঁরা মানুষের দ্বীনী প্রয়োজন পূর্ণ করেন, তাঁদের হাদিয়া বা পারিশ্রমিক দেওয়া-নেওয়া বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষত, চুক্তি করে ওয়াজের পারিশ্রমিক নেওয়া, অতিরিক্ত চাহিদা পেশ করা, পণ্য কেনা-বেচার মতো দরদাম করা, অগ্রীম বুকিং মানি নেওয়া, চাহিদার চেয়ে টাকা একটু কম হলে ওয়াজে না যাওয়া, টাকার পরিমাণ নিজের চাহিদার চেয়ে একটু কম হলে খারাপ আচরণ করা, এক মাহফিল রাখার পরে সেই দিনে অন্য মাহফিলে টাকা বেশি পাওয়ার কারণে প্রথম মাহফিলে না যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ের সমাধান পেশ করা হয়েছে। ৪. ওয়াজ মাহফিলে বর্তমানে নানা ধরনের অসঙ্গতি দেখা যায়। বক্তা, শ্রোতা ও আয়োজক সবার মধ্যেই। যা, অন্যদের কাছে ওয়াজ মাহফিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে হাসি ও বিরক্তির কারণ বানায়। কখনো কখনো এই পবিত্র মঞ্চকে কলুষিত করে। এই বইয়ে সেসব অসঙ্গতির কিছু চিত্র তুলে ধরে তার শরয়ি বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। যা বক্তা, শ্রোতা ও আয়োজক সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাথেয় হবে ইনশাআল্লাহ ।