আজকে অফিসের কোনো মিটিংয়ে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন, কিন্তু নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারেননি? আজকে কোনো ইন্টার্নশিপের প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কথা রাখতে পারেননি? আজকে কোনো চাকরির ইন্টারভিউ ছিল, কিন্তু দেরি করে যাওয়ার জন্য ভালোভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেননি? আপনার উত্তর যদি না হয়, তাহলে এই বই আপনার জন্য। করপোরেট দুনিয়ার নানান দিক, নানান রঙ। করপোরেট পেশাজীবী নিজেকে তৈরি করতে তরুণ শিক্ষার্থীদের অনেক স্বপ্ন থাকে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের সরাসরি হাতেকলমে শেখার সুযোগ অনেকটাই সীমিত। কী শিখতে হবে, কীভাবে শিখতে হবে, তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ অনেক কম। আবার যারা তরুণ পেশাজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তারাও থাকেন দ্বিধায়। অথচ, পরিকল্পনা, পেশাগত কোনো লক্ষ্য অর্জন, ও কার্যকর কৌশলের মাধ্যমে নিজেকে আমাদের তরুণেরা সামনে এগিয়ে নিতে পারে। এই বইটি আসলে সেসব ক্যারিয়ার ও করপোরেট বিষয়ের একটি সংকলন মাত্র। পেশাজীবনে সাফল্য গাণিতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বসে থাকলে সেখানে কোনো অর্জন আসে না। সাফল্যের জন্য, নিজেকে বদলে ফেলার জন্য কাজ করতে হবে। কীভাবে কী করা যায়, শুরু করতে কী প্রয়োজন, এই বিষয়টি তুলে ধরার অংশ হিসেবে এই বইতে নানান বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের চিন্তা কৌশল শিখতে, সমস্যা বা সংকট সম্পর্কে জানতে, নানান নেতিবাচক পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াসহ দক্ষ পেশাজীবী হয়ে ওঠার নানান কৌশল নিয়েই এই বই। ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে, চেষ্টা করতেই হবে। যারা চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এই বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায় দারুণ কাজে আসবে।
বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ)। তিনি আইবিএর ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্সি প্রোগ্রাম (এমসিপি), বিবিএ প্রোগ্রাম এবং আইবিএ কম্পিউটার সেন্টারের প্রাক্তন চেয়ারপারসন। তিনি স্যাপিয়ান স্ট্র্যাটেজি কনসালট্যান্টিং অ্যান্ড রিসার্চের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা। কানাডার ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শুলিচ স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ করেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ (ফাইন্যান্স) ও ইংরেজি সাহিত্যে এমএ, বিএ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে তিনি এক্সিকিউটিভ এমবিএ, এমবিএ এবং বিবিএ প্রোগ্রামে নিয়মিত পড়ান। এ ছাড়াও দেশে-বিদেশে পাবলিক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন কাজে পরামর্শমূলক প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশ, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, বাংলাদেশ-এর মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত বিকাশে নিয়মিত কাজ করছেন। গবেষণার পাশাপাশি বাংলাদেশে মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এমএসএমই) এবং ব্যাংকিং সেক্টরের নির্বাহীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেন তিনি। অসংখ্য নেতৃস্থানীয় স্থানীয় ও বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে কৌশলগত পরামর্শ সেবা প্রদান করেছেন মোহাম্মদ সাইফ নোমান খান। বাংলাদেশে কমপ্লেক্সিটি স্ট্র্যাটেজি ও ডিজাইন থিংকিংয়ে একমাত্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রশিক্ষক তিনি।