"ছায়ামানবী" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: অদ্ভুত এক কুমারী। আটপৌরে বাস্তবতা আর পরাবাস্তবের মাঝামাঝি অন্য এক ভুবন যেনাে কডিবর্গার ছাদ, বারান্দার ঢেউচালে বৃষ্টির মাতম। কাকভেজা হয়ে মাথা মুছতে মুছতে রান্না ঘরে ঢুকে নাক টেনে ঢাকনা সরাতে সরাতে বাবার আবাল্য স্নেহের পরশ, কলতলা, জুই-হাসুহেনা। আর নিকোনাে উঠোন যার শৈশবের জিয়নকাঠিবিস্ময়কর হলেও তার জন্ম অন্য এক আখ্যানে।দুঃস্বপ্নে-জাগরণে, তন্দ্রায়-ঘােরে পরিস্ফুট হয়। অন্য এক জন্মদাতা; দৃশ্যমান হয় এক অদ্ভুত। মানব, জন্ম যার বহুকাল আগে, কখনাে সে সুপার ন্যাচারাল, কখনাে বা তারুণ্যের চিহ্ন। আকীর্ণ উঠতি বখাটে, রিক্সার গতিরােধ করে। তাকে নিয়ে যায় রহস্যঘেরা এক পরিত্যক্ত বাড়িতে। সেই ভ্রষ্ট তরুণের মর্মস্পর্শী অতীত | স্পর্শ করে অপহৃত শান্ত-স্নিগ্ধ তরুণীটিকেও। এ এক জান্তব বাস্তব; অথচ ঘটনাকাল কখনাে আগে কখনাে বা পরে। টাইমফ্রেম বলে যেনাে কিছু নেই। এ যেনাে এক রিয়েলিস্টিক বাস্তবতা। ঘটনা ঘটার আগেই দৃশ্যমান হয়ে উঠে চোখের। সামনে সব। এক সুদর্শন যুবক, সবটাই যার নিখুঁত, তার ভেতরের মানুষটা যে কতােটা কদর্য! । ভালাে মানুষের আদলে এক স্যাডিস্টের কণ্ঠলগ্ন। হয়েও যে আবিষ্কার করে বখাটে সেই তরুণের ভেতরে অন্য এক মানবিকতার উন্মেষ! স্বপ্নের দ্বৈরথেই গড়ে তুলে তাকে একটু একটু করে । এ এক ভিন্নরকম মেকবিলিভ! এ এক অন্যরকম ছায়ামানবী!