বুদ্ধিমানের পরিচয় عن ابن عمر رضي الله عنهما قال اتيت النبي صلى الله عليه وسلم عاشر عشرة فقام رجل من الانصار فقال يا نبي الله من أكيس الناس واحزم الناس قال أكثرهم ذكرا للموت وأكثرهم استعدادا للموت أولئك الأكياس ذهبوا بشرف الدنيا وكرامة الآخرة . رواه ابن ابي الدنيا والطبراني في الصغير باستاد حسن ورواه ابن ماجة مختصرا باسناد جيد كذا في الترغيب وذكره الزبيدي طرقا عديدة হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, একদা আমরা দশজন সাথী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হলাম। এক আনসারি সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকদের মাঝে সর্বাধিক বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ কে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যারা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে, মৃত্যুর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে তারাই সর্বাধিক বুদ্ধিমান। বাস্তবে এসকল লোক ইহকালীন মান-মর্তবা ও পরকালীন সম্মান অর্জন করে নিয়েছে। মৃত্যুকে অধিক পরিমাণ স্মরণ করার বিষয়ে বিভিন্ন শিরোনামে হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। কয়েকটি হাদিসের আলোচনা 'ফাযায়েলে সাদাকাত' কিতাবে "আশা আকাঙ্ক্ষা খাটো করা" বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
(২ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ – ২৪ মে ১৯৮২) তিনি ছিলেন দেওবন্দি ধারার একজন হানাফি পণ্ডিত। তিনি হাদিসের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তার চাচা মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি ছিলেন সংস্কারমূলক আন্দোলন তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ফাজায়েলে আমল নামক গ্রন্থের লেখক। এটি উর্দুতে লিখিত হলেও অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[১][২][৩] তার জীবনীগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে হায়াতে শায়খুল হাদিস ও আপবীতি। মুহাম্মদ জাকারিয়া ১৮৯৮ সালে কান্ধলা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া। গাঙ্গোহ নামক স্থানে তিনি তার পিতার মাদ্রাসায় দশ বছর পাঠগ্রহণ করেন। ১৯১০ সালে তিনি মাজাহির উলুম শাহারানপুর মাদ্রাসায় শিক্ষালাভের জন্য আসেন। এই মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে সম্পর্কিত ছিল। তিনি তার পিতা ও মাওলানা খলিল আহমেদ শাহারানপুরির কাছ থেকে হাদিস শিক্ষালাভ করেন। ১৯১৫ সালে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি এখানে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় দেওবন্দ আন্দোলনের প্রসারে তার ভূমিকা রয়েছে।