দাড়ি!!! এখনও বিবাহ করিনি, বিবাহ করলে দাড়ি রেখে দেব। আরে ভাই, আমি তো কেবল যুবক! আরেকটু বয়স হলে দাড়ি রাখা যাবে। এসবই খোঁড়া ও মূর্খতাপূর্ণ এবং শয়তানী ওয়াসওয়াসামূলক কথা ব্যতীত আর কিছুই নয়। আল্লাহ তা‘আলা নিজে যেমন সুন্দর তেমনি তাঁর বান্দার সুন্দর অবস্থাকে ভালবাসেন। তাই-ই যদি হয়ে থাকে তবে এটা বলা অনুচিত হবে না যে, প্রত্যেক বস্তু বা সৃষ্টিকে তার নিজ নিজ অবস্থানে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। কেউ যদি আল্লাহর সৃজিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে কোনরূপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন করে তবে তাতে তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি না হয়ে বরং সৌন্দর্যহানি ঘটে, এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহ তা‘আলার প্রতিটি সৃষ্টির ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। মহান আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর প্রাকৃতিক চেহারার মধ্যে কিছু হিকমত রেখেছেন, যার ব্যতিক্রম করা হলে আল্লাহ তা‘আলার সেই বস্তুর উক্ত হিকমত আর থাকে না। তবে হ্যাঁ, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের অনুমতি দিয়েছেন এমন বিষয় এ হতে স্বতন্ত্র। আলোচ্য দাড়ি ও গোঁফ উভয়ের ক্ষেত্রেও এ কথা যথারীতি প্রযোজ্য। মহা বিজ্ঞানময় আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির পুরুষদের চেহারায় দাড়ি ও গোঁফ দিয়েছেন এবং তাঁর প্রেরিত দূত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন যে, এ দু’টি বিষয়ের বিধান কী হবে। অর্থাৎ দাড়ি পূর্ণমাত্রায় ছেড়ে দেওয়া ও লম্বা রাখা এবং গোঁফ কেটে ছোট রাখার বিধান দিয়েছেন। অতএব বুঝতে হবে, নিশ্চয়ই এতেই প্রকৃত সৌন্দর্য ও হিকমত নিহিত। এ এলাহী নীতির বিপরীত করে দাড়িতে হস্তক্ষেপ করে কাট-ছাঁট করা বা কামিয়ে ফেলা মানেই আল্লাহর সৃজিত সর্বোত্তম আকৃতি ও সৌন্দর্যকে বিকৃত করা এবং সৌন্দর্যের নামে মূলত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানি করত প্রকাশ্য পাপে লিপ্ত হওয়া। আল্লাহ আমাদের এহেন গর্হিত পাপ হতে হেফাযত করুন, আমীন।
(২ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ – ২৪ মে ১৯৮২) তিনি ছিলেন দেওবন্দি ধারার একজন হানাফি পণ্ডিত। তিনি হাদিসের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তার চাচা মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি ছিলেন সংস্কারমূলক আন্দোলন তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ফাজায়েলে আমল নামক গ্রন্থের লেখক। এটি উর্দুতে লিখিত হলেও অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[১][২][৩] তার জীবনীগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে হায়াতে শায়খুল হাদিস ও আপবীতি। মুহাম্মদ জাকারিয়া ১৮৯৮ সালে কান্ধলা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া। গাঙ্গোহ নামক স্থানে তিনি তার পিতার মাদ্রাসায় দশ বছর পাঠগ্রহণ করেন। ১৯১০ সালে তিনি মাজাহির উলুম শাহারানপুর মাদ্রাসায় শিক্ষালাভের জন্য আসেন। এই মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে সম্পর্কিত ছিল। তিনি তার পিতা ও মাওলানা খলিল আহমেদ শাহারানপুরির কাছ থেকে হাদিস শিক্ষালাভ করেন। ১৯১৫ সালে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি এখানে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় দেওবন্দ আন্দোলনের প্রসারে তার ভূমিকা রয়েছে।