তাওয়াক্কুল (গল্পে গল্পে শাস্ত্রীয় আলাপ) আরাফাত সাহেব বিকেল পাঁচটায় অফিস থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে তিনি অফিস ভবনের নিচতলাতেই আটকে আছেন! বর্ষার সময় এই এক সমস্যা! বলা নেই কওয়া নেই-হুটহাট চলে আসে বৃষ্টি। আর বৃষ্টির পানিতে ঢাকা শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা! প্রকাশ পায় স্বপ্নের শহরের কদর্য রূপ! মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বাসে না গিয়ে সিএনজি নেওয়াই ভালো মনে করলেন তিনি। অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকার পর তিনি একটি যাত্রীশূন্য সিএনজির দেখা পেলেন। তাই দেরি না করে হাত দেখিয়ে সিএনজি থামালেন। জিজ্ঞেস করলেন-'মেরুল বাড্ডা বৈঠাখালী' যাবেন? বলা বাহুল্য, ওই এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। তাই বৃষ্টির দিনে সিএনজিওলারা ওদিকে খুব একটা যেতে চায় না। তাই অনেকটা দ্বিধাগ্রস্থ হয়েই প্রবীন সিএনজি চালককে তিনি যাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলেন। তাকে আশ্বস্ত করে চালক বললেন- জি স্যার! যাব। আরাফাত সাহেব বললেন-কত দিতে হবে? চালক বললেন-স্যার! আপনার যা ইচ্ছা তা-ই দিয়েন! আরাফাত সাহেব বললেন-তবুও বলুন কত দিতে হবে? ভাড়া নির্ধারণ করে ওঠা ভালো। না হয় পরে আবার ক্যাচাল করবেন! চালক বললেন স্যার! একটা কথা বলি, কিছু মনে করবেন না। আমি খুব কম লেখাপড়া জানা একজন মানুষ! তবে অন্তত এটুকু জানি, আল্লাহ তাআলা আপনার পকেটে আমার জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন; আপনি চাইলেও তা নিজের জন্য রাখতে পারবেন না। আবার এরচে' বেশি দিতেও পারবেন না!