কবি সানাউল্লাহ সাগরের ১১তম গ্রন্থ বা ৮ম কাব্যগ্রন্থ ‘পৃথিবী সমান দূরত্ব আমাদের’। সাগর তার প্রতিটি বইয়ে পাঠকের সামনে উপস্থিত হয়েছেন নতুন আঙ্গিকে। এই নতুনত্ব কবিতা থেকে তার সুরকে বিচ্চিন্ন করেনা, তিনি স্বতন্ত্র হয়ে ওঠেন নিরীক্ষার সম্ভাবনায়, চিন্তার বিচিত্রতায়, আঙ্গিক পরিবর্তনে। ‘পৃথিবী সমান দূরত্ব আমাদের’ বই নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কবি অনিন্দ্য দ্বীপ বলেন-- নিয়ত ভাতঘুমের বিলাসীতা ছেড়ে কবিতা কি খুব বেশিদূর এগিয়েছে-কতদূর... পাপেট শো- আলো জ্বলমল-বিজ্ঞাপন দ্যুতির বিচ্ছুরিত তোতাকথা থেকে হুল্লোর করে অসন্তোষ ঢুকে পড়ছে বেডরুম-হেঁশেল-- কবিতা কি শিল্পের পায়ের নেরিকুত্তা--ঘুরঘুর! না। ছড়িয়ে পড়া স্লোগানের মতো-নীরব মানুষের দীর্ঘশ্বাস... আরো আরো অভিমান মৌনতা; বিচ্ছিন্নতাবোধ- নীরবতার ভাষা থেকে বেরিয়ে আসা সুতীব্র চিৎকার; একা হতে হতে লীন হয়ে যাওয়া! প্রবর অস্তিত্বের টানে ভেঙে ভেঙে অসংখ্য জোড়াতালি। ফিরে আসতে গিয়ে নিজের কাছে বিপন্ন বিস্ময়ে স্মৃতিশূন্য। যেন-পৃথিবী সমান দূরত্ব আমাদের... তবু কখনো কাদেনি সে- কাল বৈশাখি ঝড়ে তীব্র শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষে মতন তুমুল জেদ নিয়ে বেঁচে ছিল নিতাই। একা তবু অন্যদের চেয়ে সবুজ।
সানাউল্লাহ সাগর মূলত কবি। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধিত্বশীল দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ, সাহিত্য পত্রিকাসহ বিভিন্ন বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল থেকে প্রকাশিত লিটলম্যাগে লিখছেন। কবিতা লেখার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাসও লিখছেন নিয়মিত। তিনি ১৯৮৬ সালের ৪ আগস্ট, দক্ষিণ ভূতের দিয়া, বাবুগঞ্জ, বরিশালে জন্মগ্রহন করেন । শিক্ষা জীবনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর সাগর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ‘বাংলাদেশের ব্যঙ্গ সাহিত্য’ বিষয়ে পিএইচডি গবেষণা করছেন।