পৃথিবীর ইতিহাসে পুরুষের পাশাপাশি নিজ কর্মগুণে অনেক নারী বিখ্যাত হয়েছেন। পরিণত হয়েছেন মহিমান্বিতা মহীয়সীতে। এমনই কয়েকজন ইতিহাসের অনন্যাকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এ গ্রন্থটিতে। বইটি গতানুগতিক কোন জীবনীগ্রন্থ নয়, বরং বিশ্বের ইতিহাসে ঈমানদীপ্ত অনন্য সাধারণ গুণের অধিকারী সেসব নারীদের কথা, যারা বিশ্বের চেঞ্জমেকারদের সাথী হয়ে নিজ বিচক্ষণতা, বুদ্ধিদীপ্ততা ও নিঃস্বার্থ সহযোগিতার মাধ্যমে পৃথিবীকে বদলে দেয়ায় ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে এখানে। আলোচিত নারী চরিত্রগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত করলে তাদের যোগ্যতা, পারদর্শিতা ও অবদানের বৈচিত্র পাওয়া যায়। কাউকে দেখা গেছে রাজ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায়। কেউবা রাষ্ট্রীয় সব জৌলুস ছেড়ে নিমগ্ন হয়েছেন সাধারণ জীবনযাপনে শুধুমাত্র দ্বীন পালনের জন্য। আবার কেউ নগ্ন তলোয়ার হাতে লড়াই করেছেন জিহাদের ময়দানে। কেউবা সাহিত্যচর্চা করে ইতিহাসের সেরা কবিদের কাতারে নিজের নাম লিখিয়েছেন। আবার কোন কোন রাজরাণীকে দেখা গেছে জনসেবার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে। তবে অবদান ও কৃতিত্ব যাই থাক না কেন একটি স্থানে তাদের মধ্যে ভীষণ মিল রয়েছে, তারা সকলেই ছিলেন ঈমানের আলোয় আলোকিত। তাদের সকলের মূল উদ্দেশ্যই ছিল জীবনকে ঈমানের দাবিতে পরিচালনা করা। গ্রন্থটির আলোচনায় এসেছেন নবী-রাসূলগণের সম্মানিতা মা, তাঁদের স্ত্রী, ইতিহাসের স্মরণীয়া বরণীয় কিছু নারী, বিখ্যাত সাহাবী ও পরবর্তী খলিফাগণের জীবনের সাথে জড়িত বিদুষী নারীগণ। কুরআন, হাদিস ও ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে গ্রন্থটি রচিত হয়েছে। কল্প কাহিনী, বাহুল্য আলোচনা ও উম্মাহর সামগ্রিক কল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আলোচিত বিদুষিদের উল্লেখযোগ্যরা হলেন- সারাহ ও হাজেরা আ. সাবা জাতির মহারাণী বিলকিস মূসা আ. জীবনচক্রে বিদূষী নারীগণ মারইয়াম বিনতে ইমরান রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জীবনসঙ্গী আমাদের জননীগণ রাসূল ﷺ এর কন্যাগণ সুমাইয়া বিনতে খাইয়াত আসমা বিনতে আবু বকর শহীদবধূয়া আতিকা বিনতে যায়িদ উম্মে উমারাহ নুসাইবা বিনতে কাব আসমা বিনতে উমাইস উম্মু সুলাইম বিনতে মিলহান ফাতিমা বিনতে আবদুল মালেক ইবনে মারওয়ান উম্মুল বানীন বিনতে আবদুল আযীয বিন মারওয়ান রাণী যুবাইদা বিনতে জাফর জান্নাতের সুবার্তাপ্রাপ্তা নারী সমাজ