বন বিভাগে চাকরির সুবাদে ও শৈশবে নানা স্থানে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণের ফলে অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করি। বিশেষ করে অরণ্য-প্রকৃতি, বন্যপ্রাণী, পাখপাখালি অনেক কাছ থেকে দেখি ও ভালোবেসে ফেলি । ফেলে আসা সেসব বনের দিনগুলোর কথা মনে করেই বনের স্মৃতি লেখার বাসনা জাগে। কিন্তু আমি কোনো লেখক নই, লেখালেখি করার জন্য তেমন উৎসাহ বা সুযোগও কখনো পাইনি। তবে আমার সহধর্মিণী রওশন আরা কোরেশী প্রায়শ বলতেন, 'তোমার বর্ণাঢ্য জীবনের সব ঘটনা সুন্দরভাবে বর্ণনা করে লিখে রাখো, যাতে পরবর্তীকালে বিভিন্ন স্মৃতি সাজিয়ে একত্র করলে চমৎকার একটা বই হয়ে যায়।' তাঁর উৎসাহেই লিখতে শুরু করি বিভিন্ন সত্যঘটনা নিয়ে । পরে চট্টগ্রাম থাকাকালীন প্রবীণ লেখক এনায়েত মওলার সাথে পরিচয় হয়, যাঁর বন-বিষয়ক রচনা পড়ে আমি মুগ্ধ। তিনি আমাকে সাহিত্য প্রকাশ- এর পরিচালক মফিদুল হকের কথা বলেন। সেই সূত্রে বেশ কয়েক বছর আগে আমার অপক্ক হাতের লেখা ‘বনের স্মৃতি' পাণ্ডুলিপি নিয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হই । তিনি লেখাটা পছন্দ করেন, তবে ভালোভাবে পরিমার্জনা করে দেয়ার জন্য বলেন। আমার ছোট ভাই আলী আসলাম কোরেশী ফুয়াদ পাণ্ডুলিপিটি লেখক আখতার হুসেন দ্বারা সম্পাদনার ব্যবস্থা করেন। আমার পুত্র আনিস আকবর কোরেশী তরুণ এই বইয়ের ছবিগুলো যোগাড় করে দিয়েছে যার বেশির ভাগই তার তোলা । এদের সবার সাহায্য-সহযোগিতা ও একান্ত প্রচেষ্টায় বনের স্মৃতি গ্রন্থটি প্রকাশ করা সম্ভব হলো। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও সালাম জানাই ।