পাকিস্তানের প্রখ্যাত জ্ঞান-সাধক ও সুবক্তা মাওলানা তারিক জামিল-এর মুখ নিঃসৃত মূল্যবান উপদেশ ও প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণিত ধর্মীয় ঘটনাবলীর কারণে তিনি সারাবিশ্বে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার মূল্যবান বয়ান ও নসীহত সম্বলিত বয়ান সমগ্র পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পাঠক মহলকে আন্দোলিত করেছে। সেগুলোর মাঝে আলোড়ন সৃষ্টিকারী "বায়ানাতে হজরত মাওলানা তারীক জামীল" শীর্ষক বয়ান সমগ্রটি পাঠক হৃদয়কে অতুলনীয় আকর্ষণে মুগ্ধ করেছে। তার এই বয়ান সমগ্রটি কুরআন-হাদিসের বিশুদ্ধ আলোচনাসহ বর্তমান বিশ্বের বাস্তবধর্মী বিভিন্ন ঘটনাবলীর সমন্বয়ে সংকলিত হয়েছে। গ্রন্থটি যেহেতু উর্দু ভাষায় রচিত এবং তা সুদীর্ঘ, তাই এর নির্বাচিত অংশগুলোকে কয়েক খণ্ডে বিভক্ত করে, সহজ, সুন্দর ও সাবলীল উপস্থাপনায় পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে। গ্রন্থটির উর্দু নাম হলো "বায়ানাতে হজরত মাওলানা তারীক জামীল" কিন্তু বাংলা ভাষায় সেই নামটি অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই গ্রন্থটির ব্যাপক প্রচার- প্রসার ও পাঠক-হৃদয়ে সাড়া জাগানোর লক্ষ্যে এর নামকরণ করা হয়েছে "শেষ পলকের যাত্রা" নামে। বয়ানের মূল বিষয়বস্তু হলো দাওয়াত ও তাবলিগ, যা বর্তমান বিশ্বে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে আসছে। আর ইসলামের অনুপম আদর্শের প্রতি মানুষকে হেকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করা এবং ইসলামের কল্যাণকর বিষয়গুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নামই হলো দাওয়াত ও তাবলিগ।
তারিক জামিল (যিনি মাওলানা তারিক জামিল নামে অধিক পরিচিত, জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৫৩) একজন প্রভাবশালী পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, দায়ী এবং তাবলিগ জামাতের সদস্য। ইসলাম প্রচারক হিসেবে তার সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পাশাপাশি উর্দু ও আরবিতে সাবলীল বক্তৃতা তাকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষকে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন।[১] শিক্ষাজীবনে তিনি তাবলিগ জামাত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা ছেড়ে নিজেকে ইসলাম শিক্ষায় নিয়োজিত করেছিলেন। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের অংশ হিসেবে তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা ও মিম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি সবসময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম জরিপে শীর্ষ ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছেন।