মানুষ মাত্রই কোন না কোনভাবে কম বেশি অসুস্থতা বা বিপদের সম্মুখীন হয়। কিন্তু খুব কম মানুষই এ কথা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয় যে, জীবনের এ অসুস্থতা বা বিপদের প্রতিটি ঘটনা সুনির্দিষ্ট কোন না কোন কারণে এবং সুনিয়ন্ত্রিতিভাবে সংঘটিত হয়ে থাকে। জীবনঘনিষ্ঠ প্রতিটি বিষয়ের মধ্যে, অসুস্থতা বা রোগ ব্যাধি একটি সবচেয়ে বড় রকম বিপদ। ধন-সম্পদ, ফল-ফসলের ক্ষতি সবই বিপদ। দৈনন্দিন জীবনের আরো একটি বিপদ কারো ঘরে কেউ না কেউ মৃত্যুবরণ করে। আবার কেউবা ক্ষুধায়, কেউবা দুর্ঘটনার শিকার হয়, কেউ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-বৃষ্টি, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর সকল বিপদই মানুষের জন্য পরীক্ষা। ধৈর্যের পরীক্ষা, আল্লাহর উপর ভরসা করার পরীক্ষা, আর এই পরীক্ষা ঈমানদারদের ঈমানের পরীক্ষা। অতএব, এই বিপদে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বা ভালো ধারণা পোষণকারী, ধৈর্য ধারণকারী, তওবাকারীকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। অথচ বেশিরভাগ মানুষ না বুঝে রোগ-ব্যাধি বা বিপদে আল্লাহকে দোষারোপ করেন এবং ভাগ্যকে গালমন্দ করেন। এতে মানুষের ঈমান বিনষ্ট হয়। ফলে বান্দা মর্যাদা থেকেও বঞ্চিত হয়। শুধু না জানার কারণে বা দীনের জ্ঞান না থাকার কারণে অনেক অনেক সওয়াব থেকে আমরা বঞ্চিত। আবার জানার পর আমলে না আনার কারণেও সওয়াব থেকে বঞ্চিত। অতএব আসুন, কুর’আন এবং সহিহ হাদিসের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই - অসুস্থতা, বিপদাপদের কারণ কী? আর সে সময়ে আমাদের করণীয় কী?