সভ্যত্যার শুরু থেকেই পশু-পাখির সাথে মানুষের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। হিংস্র প্রাণী থেকে মানুষ বাঁচার তাগিদে তৈরি করেছে পাথর কেটে ধারালো অস্ত্র । আবার চাষাবাদ শেখার পর কিছু প্রাণীকে মানুষ কাজে লাগিয়েছে। নিজেদের ঘরের পাশে তৈরি করে দিয়েছে পশু-পাখির ঘর। আপন গৃহে ঠাই দিয়েছে কুকুর, বেড়ালসহ প্রিয়তম পোষা প্রাণীকে । যুগের পর যুগ এভাবে পোষা প্রাণীটি মনিবের ঘরে লালিত পালিত হওয়ায় বোবা প্রাণী বুঝে নিয়েছে মনিবের হৃদয়ের ভাষা। আর তাইতো নিজের প্রাণের বিনিময়ে সৃষ্টি করে যাচ্ছে বিরল দৃষ্টান্ত । কুকুর এমনই এক প্রভুভক্ত প্রাণী । প্রকৃতির লাঙ্গল বলে খ্যাত কেঁচো আমাদের জমিকে অবিরত করে যাচ্ছে করেছে উর্বর। বাদুড় লক্ষ কোটি কীট-পতঙ্গ খেয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে যাচ্ছে। আর ফলে ফলে বিচরণ করে উদ্ভিদের পরাগায়ণ ঘটাতে ব্যস্ত । রক্তচোষা বাদুড়তো রীতিমত ত্রাসের সৃষ্টি করেছে । প্রাণীকুলের মধ্যে প্যাচাকে নিয়ে কত শত গল্পগাঁথা রচিত হয়েছে। ঐশ্চর্যের দেবী লক্ষ্মীর বাহন প্যাঁচা। আবার গ্রামাঞ্চলের মানুষ প্যাঁচাকে অশুভ মনে করে। প্রখর দৃষ্টিসম্পন্ন ঈগল পক্ষীকুলের নিকট এক ত্রাস সৃষ্টিকারী পাখি । অতি ক্ষুদ্র প্রাণী ইঁদুর আমাদের কি ক্ষতিই না করছে। আর তাদের শায়েস্তা করতে মানুষ পুষছে বাঘের মাসি বলে খ্যাত বেড়ালকে । বইটিতে এসব পশু-পাখির ছবিসহ বিচিত্র জীবন কথা বর্ণনা করা হয়েছে। সাথে রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রাণীটির উপর একটি করে চমকপ্রদ গল্প যা পড়লে ছোটদের মন আনন্দে ভরে উঠবে।