সূচিপত্র * প্রথম অধ্যায় : মৃত ব্যক্তির কবর যিয়ারতকারীদেরকে চিনতে পারে কিনা এবং তাদের সালামের উত্তর দিতে পারে কিনা * দ্বিতীয় অধ্যায় : মৃত্যুর পর রূহের পরস্পর সাক্ষাৎ ও আলাপ আলোচনা হয় কিনা * তৃতীয় অধ্যায় : জীবিত ও মৃত ব্যক্তিদের রূহ পরস্পর সাক্ষাৎ করে কিনা * চতুর্থ অধ্যায় : রূহের মৃত্যু হয়, না কেবল দেহের মৃত্যু হয় * পঞ্চম অধ্যায় : দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রূহকে কিভাবে চেনা যায় * ষষ্ঠ অধ্যায় : কবরে মুনকার-নাকীরের সওয়াল-জওয়াবের সময় মৃত ব্যক্তির রূহকে কিভাবে দেহে ফিরিয়ে আনা হয় * সপ্তম অধ্যায় : মৃত্যুর পর কবরের আযাব হয় কিনা কবর প্রশস্ত বা সংকীর্ণ হয় কিনা * অষ্টম অধ্যায় : পবিত্র কুরআনে কবরের আযাব সম্পর্কে কোন উল্লেখ আছে কিনা * নবম অধ্যায় : কি কি কারণে কবরের আযাব হয় * দশম অধ্যায় : কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় * একাদশ অধ্যায় : কবরে কি মুমিন, মুনাফিক ও কাফির সবাইকে প্রশ্ন করা্ হয় * দ্বাদশ অধ্যায় : মুনকার-নাকীরের সওয়াল -জওয়াব কি কেবল শেষ নবীর উম্মতের জন্য, নাকি অন্য সকল নবীর উম্মতের জন্যও ছিলো * ত্রয়োদশ অধ্যায় : কবরে কি শিশুদেরকেও সওয়াল-জওয়াব করা হয় * চতুর্দশ অধ্যায় : কবরের আযাব স্থায়ী না সাময়িক * পঞ্চদশ অধ্যায় : মৃত্যুর পর রূহ কিয়াম পর্যন্ত কোথায় অবস্থান করে * ষোড়শ অধ্যায় : মৃতদেহ রূহ জীবতদের হোক নেক আমল দ্বারা উপকৃত হয় কিনা বা মৃত ব্যক্তি নিজের নেক আমল দ্বারা উপকৃত হয় কিনা * সপ্তদশ অধ্যায় : রূহ নশ্বর, না অবিশ্বর * অষ্টাদশ অধ্যায় : প্রথমে রূহ, না দেহের সৃষ্টি হয়েছে * ঊনিশতম অধ্যায় : নাফস কি? নাফস এর মূল রহস্য কি * বিশতম অধ্যায় : নাফস ও রূপ কি এক, না ভিন্ন * একুশতম অধ্যায় : নাফস কি একটি না তিনটি * কতিপয় পরিভাষার ব্যাখ্যা
ইমাম যাহাবীর ছাত্র তাজ-উদ-দীন আব্দুল ওয়াহ্হাব আস-সুবকী বলেন, “আমাদের শাইখ ও উস্তায ইমাম হাফেয শামসুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহ আত-তুর্কমানী আয-যাহাবী যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস। তিনি নজির-বিহীন। তিনি এমন এক গুপ্তধন, যার কাছে আমরা সমস্যায় পতিত হলে ছুটে যাই। হিফযের দিক থেকে সৃষ্টিজগতের সেরা। শাব্দিক ও অর্থগতভাবে তিনি খাঁটি সোনা। ‘জারহ ও তাদীল’ শাস্ত্রের পণ্ডিত। ‘রিজালশাস্ত্রে’ তিনিই বিজ্ঞ। যেন সমগ্র উম্মাহর লোকজনকে একটা প্রান্তরে একত্র করা হয়েছে, আর তিনি তাদের দেখে দেখে তাদের ব্যাপারে বলছেন। তার জন্ম ৬৭৩ হিজরী সনে। আঠার বছর বয়সে তিনি হাদীস অন্বেষণ শুরু করেন। দামেস্ক, বা‘লাবাক্কা, মিশর, আলেকজান্দ্রিয়া, মক্কা, আলেপ্পো, নাবুলসসহ নানা শহরে তিনি গমন করেন। তার শাইখের সংখ্যা অগণিত। তার থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ হাদীস শুনেছে। তিনি হাদীস-শাস্ত্রের খেদমতে রত ছিলেন, এমনকি এ ব্যাপারে গভীর জ্ঞানে পৌঁছেছেন। দামেস্কে অবস্থান নিলেন। সকল দেশ থেকে তার উদ্দেশ্যে লোকজন আসতে থাকল। ‘আত-তারীখুল কাবীর’ তিনি রচনা করলেন। আরও লিখলেন ‘আত-তারীখুল আওসাত্ব’ যেটা ‘ইবার’ নামেও পরিচিত। সেটা বেশ সুন্দর। আরেকটা ছোট বই লিখেলেন, ‘দুওয়ালুল ইসলাম’। এছাড়া ‘কিতাবুন নুবালা’ ও ‘আল-মীযান ফিদ-দুয়াফা’ রচনা করেন। শেষোক্ত বইটি সর্বশ্রেষ্ঠ বই। আরও রচনা করেন ‘সুনান বাইহাকী’র মুখতাসার। এটিও ভালো। লিখেছেন ‘ত্বাবাকাতুল হুফ্ফায’, ‘ত্বাবাকাতুল ক্বুর্রা’-সহ আরও নানা সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ। বিভিন্ন রেওয়ায়াতে তিনি কুরআন শিখেন এবং শিক্ষা প্রদান করেন। ৭৪৮ হিজরী সনে তিনি মারা যান। মৃত্যুর কিছু দিন আগ থেকে তিনি চোখের জ্যোতি হারিয়েছিলেন।” [ত্বাবাকাতুশ শাফেইয়্যা আল-কুবরা: (৯/১০০-১২৩)।]