যুগ যুগ ধরে আমাদের মানুষের ভিতরে কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তা হল আমি কে, আত্মা কি, ধর্ম কি, আধ্যাত্বিক বিষয়টা কি, অলৌকিক ঘটনা আসলেই ঘটে কিনা এই জাতীয় অনেক কিছু। এই বইয়ের মধ্যে আমি কে তার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যেভাবে দেহ, আত্মা আর স্মৃতি বা সত্ত্বাকে আলাদা করা হয়েছে তা অবশ্যই চিন্তাশীল মানুষকে ভাবিয়ে তুলবে আর আমি কে তার যথার্থ গ্রহণযোগ্য উত্তর পাওয়া যাবে। আকর্ষণপূর্ণ ঘটনার মধ্যে দিয়ে নিয়মের ব্যাখ্যা দিয়ে একটা মানদন্ড স্থাপন করা হয়েছে । সেই নিয়মের মানদন্ড অনুযায়ী কোন জিনিষটা বাস্তব আর কোন জিনিসটা অবাস্তব সেটা বুঝতে অনেক সহজতর হবে। আমাদের সমাজে প্রচলিত অলৌকিক ঘটনা, ভুত প্রেত জীন বা অশরীর জিনিস সেই মানদন্ড অতিক্রম করতে না পেরে খারিজ হয়ে গেছে। এজাতীয় অনেক প্রশ্ন যা আলোচনা করা হয় নাই সেগুলোর উত্তরও ওই মানদন্ড দ্বারা বিচার যোগ্য । নিয়মকে ভালোভাবে বুঝার পরে নিয়মের বাহিরে কোনোকিছু সংঘটিত হয় না- এই মানদন্ড সৃষ্টি স্রষ্টা ধর্ম ধর্মগ্রন্থ এবং চলমান অনেক ঘটনাকে আলোতে নিয়ে আসবে যা কিনা পরিষ্কার হয়ে যাবে কোনটা দুধ আর কোনটা পানি। এই বাস্তব পৃথিবীতে নিয়মের বাহিরে কোনোকিছু ঘটে না। শুধু আমাদের মনের মধ্যে কোনো নিয়ম নাই, সেখানে অন্ধত্ব আছে, আছে নিয়মের বাহিরের বিশ্বাস। এটা মানুষকে দুর্বল করে তুলে। মানুষ হোক তার নিজের শক্তিতে বলীয়ান। এই সভ্যতা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাক। অন্ধকার দূর হোক। মানুষের জীবন হোক আরো সহজও বাস্তববাদী। এই বইটি সেই পথের দিক নির্দেশনা দিয়ে গেল।