কবিতা সুন্দরের প্রতীক, জীবনের একটি অংশ। ফুলের বাগানে একটি ছোট্ট শিশুর বাহারি প্রজাপতি ধরার জন্য ব্যাকুলতা এবং আনন্দ থাকে। আমার কাছে কবিতা লেখা ঠিক তেমনি আনন্দের। তবে কবিতা শুধু মরমিয়া ভাবের নয়- এখানে সংশয় আছে, রয়েছে সঠিক পথ অবলম্বনের পশরা। কবিতা পাঠে আমি কোনো ক্লান্তি অনুভব করি না। পাঠের মধ্য দিয়েই পেয়ে যাই নতুন কবিতা লেখার উপযোগিতা, কাব্য রস সঞ্চারিত হয়, ভিজে ওঠে দেহ-মন-প্রাণ, সোনার কাঠি এবং রুপোর কাঠির ছোঁয়ায় যেমন রাজকন্যার ঘুমভাঙে তেমনি কবিতার মধ্যেও থাকে সুক্ষব্যঞ্জনা, যার শক্তিতে পাঠক খুঁজে পায় জীবনদর্শন, পরিমিতি বোধ এবং শুদ্ধাচার। আমার কাব্যচর্চা সেই শৈশব থেকে শুরু হয়ে আমৃত্যু ধাবমান। শুধু পাঠের মধ্য দিয়েই কবিতা লেখার স্বপ্ন দেখেছি। মনে মনে ভালো লাগা শব্দগুলো দানা বেঁধে চলে, কখন যে সে গোল হয়ে নেমে আসে সাদা পৃষ্ঠায় ভাবতেই পারি না। ছাপার অক্ষরে যখন নিজের কবিতা দেখি তখন নতুন করে লেখার প্রেরণা পাই, মন বাড়িয়ে খুঁজে বেড়াই সকাল দুপুর রাত্রি। কাব্য দেবীর আসনতলে হাহাকারের বাঁশি বাঁজে। দ্রোহ, শূন্যতা, প্রেম, বিক্ষোভ এবং হাহাকারের দলাধরা পরিমিতিই আমার কাব্য ভাবনা, যাকে আমি বিশ্বাস করি এবং ভালোবাসি।