একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ জীবন প্রতিটি মানুষেরই একান্ত কামনা। এ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই চায় আলোকিত জীবন আর সোনালী সমাজ। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে পৃথিবী আজ বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত। তার মধ্যে অনৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় অন্যতম। সমাজের যে দিকেই তাকাবেন, সে দিকেই দেখবেন সামাজিক, পারিবারিক দ্বন্দ্ব-কলহ, বিশৃঙ্খলা, অসামাজিক কার্যকলাপ, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ ও কে কাকে মেরে উপরে উঠবে তারই অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এর পথ ধরেই সমাজে নেমে আসে অসুন্দর ও ঘন অন্ধকারের অমানিশা। ফলস্বরূপ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, রাহাজানি, গুম, খুন, অপহরণ, হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, মাদকাসক্তি, অস্ত্র ও টেন্ডারবাজি, যৌতুক প্রথা, কালোবাজারী, নারী পাচার, প্রতিদিনের খবরের কাগজের এ রিপোর্টগুলো আমাদের আতঙ্কিত করে তোলে। ধীরে ধীরে, তিলে তিলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই সমাজ । সমাজ বিজ্ঞানীদের কাছেও সমাজের নীতি নৈতিকতার এহেন নিম্নগতি ভয়াবহ এক চ্যালেঞ্জ হয়ে উপস্থিত। হ্যাঁ, এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজকে আলোকিত করার যোগ্যতা রাখে একমাত্র তরুণ সমাজ। কারণ তরুণরাই পারে ঘুণে ধরা এই সমাজকে ভেঙ্গে চুরে নতুন করে, নতুন আঙ্গিকে গড়ে তুলতে। তিতুমীর আর হাজী শরীয়তুল্লাহর যোগ্য উত্তরসূরী- তরুণরাই আমাদের গর্ব, অহংকার, আর প্রেরণা। শাহ জালাল, শাহ মাখদুম, খান জাহানের এই পূণ্যভূমিকে তরুণরাই পারে নতুন করে রাঙাতে, নতুন করে সাজাতে। এই বই পড়ে প্রতিটি তরুণের হৃদয় হোক নতুন আলোয় আলোকিত। আর সেই শুভ্র সুন্দর সোনালী আভার এক ফোঁটা পেয়ে যাক সমাজের প্রতিটি মানুষ। সমাজ হোক সুবাসিত, সুরভিত।