কাহিনী সংক্ষেপঃ ডেইজি আর্সেনাল জর্জ টাউনে এসেছে মেডিকেল কলেজে পড়তে। ভোরবেলা তীক্ষ্ণ চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে উঠল সবাই। স্টেলা ফুপু তারস্বরে চেঁচাচ্ছেন। পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফারিত নয়নে রান্নাঘরের দিকে তাকিয়ে আছে ড্যানিয়েল আর এলিস। মেঝেতে পড়ে থাকা রক্তে ভেসে যাওয়া বেড়ালটাকে দেখে আঁতকে উঠল ডেইজি! বুকের মাঝখান থেকে নিম্নাংগ বরাবর চিরে দিয়েছে কেউ ওটাকে। ভেতরের বেশিরভাগ অর্গান যে গায়েব তা দূর থেকেও স্পষ্ট বুঝতে পারছিল সবাই! কার ডিনারে পরিণত হয়েছিল বেড়ালটি, তা কি জানেন? (ডিনার) সবাই ভাবত, রাতুল একজন স্পেশাল চাইল্ড। মানুষের সংগ তার একদম সহ্য হতো না। অন্যান্য শিশুদের তুলনায় অনেক আগেভাগেই কথা বলা শিখে যায় সে। কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারণে পোষা কুকুর লাইকা ছাড়া আর কারো সাথেই মিশত না। একদিন হুট করেই নতুন স্কুলের ক্লাস টিচার মোস্তারিনা ম্যাডামকে ভালো লেগে যায় তার। স্কুলের প্রজেক্টের জন্য সবচেয়ে ইউনিক কাজটা জমা দেয় রাতুল। প্রচন্ড আতংক আর শংকা নিয়ে রাতুলের দিকে তাকালেন মোস্তারিনা! কিছু বলতে চাইলেন অথচ কোনো আওয়াজ বের হলো না মুখ থেকে। কিন্তু কেন? (ইউরেকা) প্রত্যেকের কাছেই নিজ জীবন কী ভীষণ রকম প্রিয়! অথচ এই জীবনটা যদি হারানোর ভয় না থাকত? যদি আমরা জেনে যেতাম, আমরা অমর! কোনো রোগ-শোক, জরা, কোনোকিছুই আমাদের মৃত্যুর পথে নিয়ে যেতে পারবে না! যদি জীবনটা একই ভাবে কেটে যেত দিনের পর দিন! বছরের পর বছর! যুগের পর যুগ! তখনও কি ওটা আমাদের কাছে এত বেশী প্রিয় হতো? না কি অব্যক্ত এক অভিশাপে ছেয়ে যেত সমগ্র পৃথিবী? (অমর) প্রেয়সী, আলমারি, ক্যাডাভার, কে তুই বল, ডিনার, নবজাতক, অস্পষ্ট অবয়ব, কমল, চিহ্ন, না, পুনরাবৃত্তি, ইউরেকা, পিপাসা, হাওয়াই মিঠাই, অমর, ধন্যবাদ- ষোলোটি ভিন্ন ঘরানার থ্রিলার কাহিনি নিয়ে রচিত হয়েছে ‘প্রেয়সী’ নামের চমৎকার এই একক গল্প সংকলন। শব্দের বলিষ্ঠ গাঁথুনি এবং ব্যতিক্রম ধারার প্লট নির্বাচনের জন্য সুস্মিতা জাফর ইতোমধ্যেই সাহিত্য জগতে তার যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন; যা আরও একবার দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করবে তার এই ‘প্রেয়সী’ গল্পগ্রন্থটি।
জন্ম ১১ ডিসেম্বর। জন্মভূমি ফরিদপুর হলেও বেড়ে উঠেছেন রাজধানী ঢাকায়। পড়াশােনা করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ এ এম,বি,বি,এস পাশ করেছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতকোত্তরে ‘জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পড়াশােনা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্গত প্রতিষ্ঠান নিপসম থেকে। সুস্মিতা পছন্দ করেন। নতুন কিছু শিখতে এবং নানান রকম শৌখিন কাজ করতে। যুক্ত আছেন শিশু বিষয়ক সচেতনতা ও উন্নয়নে কর্মরত প্রতিষ্ঠান- ‘চাইল্ড সেন্ট্রিক ক্রিয়েটিভ সেন্টার এর সাথে মাত্র ৬ বছর বয়সে হােমওয়ার্ক খাতায় টুকটাক গল্প আর ছড়া লেখার সূত্রপাত। ১৯৯৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাক এর ‘কচিকাঁচার আসর’ এ প্রথম ছড়া এবং একই বছর দৈনিক প্রথম আলাে’র ‘গােলাছুট' এ প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। ২০০৭-১২ সালে ছড়া-কবিতা, গল্প মিলিয়ে প্রায় ৫০ এর অধিক লেখা দৈনিক পত্রিকা, রহস্যপত্রিকা, কিশাের তারকালােকসহ অন্যান্য মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশ হয়েছিল। ২০১২ সালে দৈনিক সকালের খবর ‘ভালােবাসা দিবস সংখ্যায় তার হঠাৎ ভালােলাগা গল্পটা প্রথম স্থান অধিকার করে নেয়। ভালােবাসেন সমসাময়িক এবং হরর গল্প লিখতে। এ পর্যন্ত তার লেখা মােট গল্পের সংখ্যা ৬০ এর ওপরে। তার লেখা প্রথম বই- ‘সােয়েটার প্রকাশিত হয়। পরিবার পাবলিকেশন্স থেকে ২০২০ সালে।