একটা উপন্যাস লেখার মাধ্যমে একজন লেখক গল্পের প্রতিটি চরিত্রকে বিশ্লেষণ করা এবং গল্পের চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তোলার পর্যাপ্ত সুযোগ পান। সে কারণে একটা উপন্যাস লেখার ইচ্ছা ছিল ভীষণ রকম কিন্তু লিখব লিখব করেও সেই উপন্যাসটা লেখা হয় নাই দীর্ঘদিন। যখন এই উপন্যাস প্রথম লেখার পরিকল্পনা করেছিলাম আর এখন যখন লিখছি তখন আমার চিন্তা-চেতনা এবং গল্পের পটভূমির মাঝে বিশাল পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধিত হয়েছে। পাঠককুল কিভাবে উপন্যাসটাকে তাঁর নিজের জীবনের গল্প ভেবে আপন করে নিতে পারবে সেটা চিন্তা করেই উপন্যাসের গল্পে এই পরিবর্তন হয়েছে। লিখতে গিয়ে দেখছি আমি উপন্যাসের গল্পকে টেনে নিয়ে যাচ্ছি না বরং গল্পই তার নিজের প্রয়োজনে আমার কলমকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে... বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীতে বসে আমরা যখন চারপাশের প্রেমকাহিনীগুলো দেখছি তখন অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি প্রেমিক-প্রেমিকা প্রথম দেখায় ডেটিং করার প্ল্যান করছে, কেউবা লং ড্রাইভে যাওয়ার প্ল্যান করছে আবার কেউ বা হোটেলে এবং অবকাশ কেন্দ্রগুলিতে সময় কাটাতে চাচ্ছে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের প্রেমকাহিনীগুলোতে আমরা দেখেছি, প্রেমিক তার প্রেমিকার শুধু হাত ধরার অপেক্ষাতেই বছরের পর বছর চলে গিয়েছে। বর্তমানের এই অস্থির সময়ে বসে নব্বইয়ের দশকের প্রেমের গল্প বলার দুঃসাহস দেখিয়েছি; আপ্রাণ চেষ্টা করেছি সেই সময়ের প্রেমের গল্পগুলি কেমন হয় তা ফুটিয়ে তোলার জন্য। ‘মজনু’ উপন্যাস হোক নব্বইয়ের দশকের প্রেমকাহিনী ফিরিয়ে আনার উপলক্ষ...