কাশ্মীর কখন থেকে মনের গহীনে জায়গা করে নিয়েছিল, আদৌ মনে পড়ে না। এ মুহূর্তে মনের উঠোনে একটি স্মৃতি আলো ফেলছে—আমি যেদিন বাবার কাছে মাদরাসায় যাব বলে স্বীকার করেছিলাম, সেদিন বাজার থেকে বাবা একটি ব্যাগ কিনে দিয়েছিলেন। সে ব্যাগের উপরিভাগে কাপড়ের একটি স্টিকার ছিল। 'শুভ্র পাহাড়ের চূড়া, রোদের আলোতে ঝলমল করছে তার শুভ্রতা।' আজও চোখের পর্দায় সে অমলিন দৃশ্যটা ভাসমান। এ যেন কাশ্মীরের পর্বতচূড়া থেকে কোনো একটি চূড়া। চোখ বন্ধ করে স্বর্গীয় কোনো দৃশ্যের কথা ভাবলেই মনে পড়ে কাশ্মীরের কথা। কর্ণকুহরে ধ্বনিত হয় অপরূপ লীলাভূমির জনপদের ছোপছোপ রক্তের মাঝে একটি মেয়ের আর্তনাদ। সে তার জীবন সায়াহ্নে বলেছিল 'হয়তোবা এটাই আমার শেষ কথা, শেষ হাসি তোমাদের জন্য। আমি জানি, কাশ্মীরীদের মুক্তির জন্য এখন আর কোনো মাহমুদ গজনবী এ পূণ্যময় ভূমিতে আসবে না, যেখানে ভারতীয় সৈন্যরা ক্রমাগত আমাদের নিপীড়ন করছে।... . মুসলিম ভ্রাতৃত্বের সমস্ত বেদনার অনুভূতি নিয়ে কাশ্মীর নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘ঝিলামের রাজকন্যা’। ইতিহাস, গল্প, বিরহআখ্যান সব মিলেমিশে এখানে দেখা মিলবে এমন এক কাশ্মীরের, যার ছবি দেখামাত্রই বুকের মধ্যে হুহু বেদনা বেজে উঠে
আবদুল্লাহ আশরাফ ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮; জুমার দিনের মিষ্টি ভোরে জন্ম। পাকুন্দিয়ার নানাবাড়িতেই বেড়ে ওঠা। কৈশোর কেটেছে বাবা শাইখুল হাদিস আশরাফ আলীর কাছে, গাজীপুরে। তাঁর হাতেই লেখাপড়ার হাতেখড়ি। বাংলা, আরবি, উর্দু ও ফারসি শেখা তার অবদান। কাফিয়া পর্যন্ত বরমীতে পড়াশোনা করে শরহে জামি পড়েন মউ মাদরাসা দুর্গাপুর। শরহে বেকায়া থেকে দাওরায়ে হাদিস কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ায়। আরবি সাহিত্য ও ফিকাহের পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিশীল এই লেখক ঢাকার মাদরাসা দারুর রাশাদ থেকে সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করেন। বর্তমানে তিনি আয়েশা সিদ্দীকা মহিলা মাদরাসা ও জামিআ আবুবকর সিদ্দীক কিশোরগঞ্জের শিক্ষক তার প্রথম বই 'সাল্লি আলা মুহাম্মাদ'। ছড়ায় ছড়ায় সিরাতগ্রন্থটি ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। দ্বিতীয় বই গল্পের 'আগুন দরিয়া'। রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজটিও পাঠকসমাদৃ হয়েছে। তিনি এবার অনন্য এক তুহফা নিয়ে এসেছেন 'হৃদয়জুড়ে ফিলিস্তিন'। সংগ্রামী ফিলিস্তিনিদের জীবনগদ্য। এতে পাঠক পাতায় পাতায় পাবেন ঈমানদীপ্ত মানুষের জীবনচিত্র।