সময় কেবল ছুটছে। অবিরাম। আমরা ভেসে ভেসে যাচ্ছি। পাড়ি দিচ্ছি সময়ের নদী। এর ভেতরে কতো কিছু দেখি। শুনি। অনুভব করি। মিলিয়ে নিতে চাই নিজের সাথে। কখনো মেলে। কখনো মেলে না। না মিললে তৈরি হয় ক্ষত। কখনো ‘কাঁদে মন’। ‘কাঁদতে ইচ্ছে করে তখন। কখনো ঘুম আসে না। তখন ‘মধ্যরাতে আকাশে ভেসে যেতে’ ইচ্ছে করে। বেরিয়ে পড়ে লাল শব্দমালা। কলমে। লিখতে ইচ্ছে করেÑ ‘কখন সমাজ বিবস্ত্র হয়’? ‘বর্ণচোরা অতিথি পাখিরা ঘিরে থাকে আলো-আঁধারে’। ‘দৌড়ের ভঙ্গি করে হাঁটতে হাঁটতে কারা মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে ফেলে?’ ‘কখনো কখনো চলা আর দাঁড়িয়ে থাকায় তেমন কোনো তফাৎ খুঁজে পাওয়া যায় না।’ ঠিক এ রকম নানান ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে কবিতা লিখেছেন কবি মজিবুল বারী। হৃদয় পুড়ে পুড়ে যেন তিনি শব্দগুলো বের করেছেন। কথা বলেছেন নিজের ঢঙে। মনুষ্যত্ব আর মানবতাই তাঁর কবিতার মূল সুর। মুক্তবুদ্ধির ধারক সমাজ সচেতনতা তাঁর সমকাল সচেতনারই অনুসঙ্গী। মানবপ্রেমের জীবনদর্শনে আস্থাবান বলে বিশ^ব্যাপী মানবতার লাঞ্চনায় তাঁর কাতরতা ও ক্ষুব্ধতা কবিতায় প্রকাশ করেন। তাঁর কবিতার মর্মে আছে প্রেম-প্রকৃতি, দেশ ও দয়িতা। সমাজ প্রবাহ থেকে উঠে আসা কবিতায় আরো আছে প্রতিবাদ, ভালোবাসা-দ্রোহ, বৈষম্য-বঞ্চনা। ‘কাঁদে মন’ গ্রন্থের কবিতাগুলোও রসগ্রাহী পাঠক হৃদয়কে আনায়াসেই দোলা দেবে। রমজান মাহমুদ