বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। বাংলা ভাষাকে সম্মান প্রদর্শনের অন্যতম উপায় হলো শুদ্ধভাবে বাংলা বলা ও লেখা। বাস্তবতা হলো শুদ্ধ বাংলা চর্চা কেবল গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রয়েছে। পাঠ্যবই, প্রচার-মাধ্যম, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, দাপ্তরিক পত্র, ব্যানার, সাইনবোর্ড, পোস্টার, লিফলেট সর্বত্র বাংলা ভুল বানানের ছড়াছড়ি। আমাদের দেশে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী বাংলা বানান-অনুযায়ী উচ্চারণ করেন। পৃথিবীর অন্যান্য ভাষার মতো বাংলা ভাষাতেও সব ক্ষেত্রে বানান-অনুযায়ী উচ্চারণ কিংবা উচ্চারণ-অনুযায়ী বানান হয় না। বাংলা লিখতে ও বলতে গেলে সাধারণত যেসব ভুল বেশি হয় সেসব ভুলের শুদ্ধ প্রয়োগ এই গ্রন্থে উদাহরণ-সহ উপস্থাপন করা হয়েছে। এই গ্রন্থ পড়ার সময় অনেকের বারবার মনে হতে পারে এতদিন কি ভুল শিখলাম? এমনটি মনে হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে শুদ্ধ বাংলা চর্চা হচ্ছে না। এই গ্রন্থে বাংলা বানান ও উচ্চারণের নিয়ম উদাহরণ-সহ উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া এই গ্রন্থে দাপ্তরিক পত্র ও বক্তব্যে প্রচলিত ভুল ও করণীয়, সংবাদবিজ্ঞপ্তি লেখার ক্ষেত্রে করণীয় ও বর্জনীয়, লিখিত বার্তা থেকে অডিয়ো বার্তায় রূপান্তর-কৌশল প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। শুদ্ধ বাংলা চর্চায় ‘স্বাচ্ছন্দ্যে শুদ্ধ বাংলা বলা ও লেখা’ গ্রন্থটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। মো. মামুন অর রশিদ ৩৬শ বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ উমানন্দ গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মো. মামুন অর রশিদ ৩৬শ বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার দক্ষিণ উমানন্দ গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কয়েক মাস সাপাহার সরকারি কলেজে রসায়নের প্রভাষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা সেপ্টেম্বর বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে তথ্য সার্ভিসে উদ্ভাবনী কার্যক্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ উদ্ভাবনী পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত হন। চাকরির পাশাপাশি তিনি লেখালিখি করতে পছন্দ করেন। তাঁর লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, 'বিসিএস তথ্য ক্যাডার সম্পর্কিত বিষয়াদি', 'বাংলাদেশের জেলা তথ্য অফিসের একাল-সেকাল' ও 'স্বাচ্ছন্দ্যে শুদ্ধ বাংলা বলা ও লেখা'। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।