মোহাম্মদ আবদুল হাইয়ের পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া থানার মেদিরাবাদ গ্রাম। জন্ম ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে মাতুলালয়ে, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া গ্রাম। পিতা - (মওলানা) আবদুল মজিদ। মাতা জামিলা খাতুন। শিক্ষা ভাণ্ডারিয়া, ঢাকা, কলকাতা, নতুন দিল্লি ও লন্ডনে। প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, বিদ্যাসাগর সোসাইটি ও পরিচালক সেন্টার ফর হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা জার্নালে তাঁর প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে আসছে। বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বিশিষ্ট লেখক ও প্রাবন্ধিক। বিশেষত ধর্মতত্ত্ব গবেষক। অধিক ২০ খানি গবেষণাধর্মী গ্রন্থের রচয়িতা। আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তৃতা দিয়েছেন তেহরান, ইস্তাম্বুল, কলম্বো, লন্ডন, প্যারিস, দিল্লি, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, পাটনা, ত্রিপুরা, কলকাতা, যাদবপুর, কল্যাণী ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে। প্রবন্ধ গবেষণাগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে গবেষণা : প্রকরণ ও পদ্ধতি (উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র, ঢা. বি. ২০০৪); নির্বাচিত প্রবন্ধ (সূচীপত্র, ঢাকা, ২০০৪); বিদেশীদের সংস্কৃত ও বাংলা ভাষাচর্চা (সংস্কৃত বিভাগ, ঢা. বি. ২০০৫); বাংলার বাইরে বাংলাচর্চা (বিদ্যাসাগর সোসাইটি ২০০৫); বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষা সাদৃশ্য ও স্বাতন্ত্র্য (বিদ্যাসাগর সোসাইটি, ২০০৬); Conflict between Religion and Science (USBP, New Delhi, 2003): Bangla for Foreigners (Dictionary, Vidyasagar Society, Dhaka, 2004); A Trancendental Travel to Iran (Travelogue); বাংলাদেশে ফারসিভাষা ও সাহিত্যচর্চার ইতিহাস (১২০৪-২০১২ খ্রি.)। বাঙালির ধর্মচিন্তা (দ্বি. সং. ২০২১), ইসলাম প্রচারের ইতিহাস (২০২১), আত্মদর্শনে সুফিবাদ (২০২২) তাঁর সর্বাধিক প্রচারিত গ্রন্থ। সম্পাদনা করেছেন বহু মূল্যবান গ্রন্থ ও অভিজাত পত্র-পত্রিকা। যেমন, বাংলা কবিতায় আন্তধর্মীয় সম্প্রীতি (ঢা.বি. ২০০৪), নীতিকবিতা সংগ্রহ (সূচীপত্র, ২০০৪); বঙ্গভঙ্গ : শতবর্ষে মূল্যায়ন (২০০৫); রবীন্দ্র সুভাষণ (স্টুডেন্ট ওয়েজ, ২০১৩); বাঙালির ধর্মচিন্তা (সূচীপত্র, ২০১৪)। এতদ্ভিন্ন তিনি ধর্মতত্ত্বের প্রাচীন প্রতিষ্ঠান থিয়সফিকাল সোসাইটি (চেন্নাই) ও ইউনাইটেড রিলিজিয়ম্স ইনিশিয়েটিভ (সানফ্রান্সিসকো) বাংলাদেশের প্রতিনিধি। প্রবন্ধ সাহিত্যের জন্য ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার নতুন গতি সাহিত্য পুরস্কার লাভ। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি উন্নয়নের জন্য ২০০২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার খ্রিস্টান সোসাইটি কর্তৃক মাদার তেরেসা সম্মাননায় ভূষিত। সৃজনশীল গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ খ্রিস্টাব্দে লাভ করেন সৈয়দ আলী আহসান সিএনসি পদক। সম্প্রতি 'নতুন গতি' পত্রিকা প্রদান করল মওলানা আকরম খাঁ পুরস্কার।