ঢাবি-মেডিকেল-বুয়েট-কুয়েট থেকে শুরু করে সবখানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে কোথাও চান্স না পেয়ে, একদমই হঠাৎ, এক চকিত সিদ্ধান্তে, একটা হুলুস্থুল বিবাহ ঘটিয়ে ফেলল বখতিয়ার রাকিব—পরিবার, সমাজ ও মহান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে। মোটামুটি তখনই একটা অশান্ত ধূলিঝড় উড়ে গেল সুয়েজ খালের ওপর দিয়ে এবং পিরামিডের দুটো ব্লক খুলে-খসে-ধসে পড়ল ইতিহাসের গা থেকে। বিদ্রোহের অপরাধে আসামিকে জর্জরিত করতে তোলা হলো পবিত্র এজলাসে। উদিত হলেন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বজনশ্রদ্ধেয় পুরোহিতগণ নিজ নিজ সংবিধান অনুযায়ী বিচার করতে। কিন্তু ততক্ষণে সবাই একটা তর্কের ভাষা পেয়ে গেছে এবং কেউই আশ্বস্ত না এবং নিজের সকল কাজের পক্ষে সবাই বাগিয়ে রেখেছে অজুহাতের ঢাল আর যুক্তির ফলা। অতএব এক তুখোড় ক্যাওয়াজ উঠল চারপাশে—সবাইকে বিদ্ধ বিক্ষত উদাম করার ইচ্ছা, সবকিছু ভেঙে দেওয়ার খায়েশ। আর তা আরও জোরালো হলো যেহেতু স্বয়ং আসামি বখতিয়ার রাকিব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, সে নিজেকে সবসময় দণ্ডায়মান রাখবে পরিস্থিতির সাত মাথার মোড়ে এবং তার একের পর এক আকস্মিক সিদ্ধান্ত কাউকে কোথাও স্থির দাঁড়াতেই দেবে না এবং তা সবসময় সবার পায়ের নিচের মাটিই সরাবে শুধু।