প্রেক্ষাপট বর্তমান সময়ের। সদ্য মাস্টার্স শেষ করা একজন ইসলামী আদর্শ সচেতন যুবক, নাম নীল। গল্পের শুরুতে সে একটি ভয়ানক স্বপ্ন দেখে। তবে স্বপ্নটাকে ঘুমের ঘোরে দেখা স্বপ্ন হিসেবে সময়ের ব্যবধানে ভুলে যায়। কালের পরিক্রমায় সেই স্বপ্নটাই তার জীবনটাকে ওলট-পালট করে দেয়। আমাদের দেশের উপন্যাসে সাধরণত সমাজ জীবন, সংসার জীবন, প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে শুরু আর শেষ করা হয়। কিন্তু আমাদের সবকিছুর সাথে যে ধর্মিয় জীবন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, সেখানে আছে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস আছে অবিশ্বাস বা নাস্তিকতা। আর বিশ্বাসী মানুষের সাথে অবিশ্বাসীর দ্বন্দ-তর্ক-বিতর্ক। সেই তর্কে কেউ হারে কেউ জেতে। কেউ বিশ্বাসী থেকে হয়ে যায় নাস্তিক আবার অনেকেই নাস্তিকতা ছেড়ে ফিরে আসে ধর্ম বিশ্বাসের ছায়াতলে। এসব বিষয় গুলো সাহিত্যে একবারে অনুপস্থিত। গল্পের একপর্যায়ে নীল ধর্ম বিশ্বাস ছেড়ে নাস্তিকতা বেছে নেয়। দ্বন্দ্ব শুরু হয় বন্ধু জিসানের সাথে। নীল নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশ খুনের সন্দেহ করে নীলের বন্ধু জিসানের উপর। নীল জীবিত না মৃত হদিস মেলেনা। দিনেরপর দিন চলে যায় সন্তান হারা মা-বাবার নিদারুণ যন্ত্রণায়। সত্যিই কি জিসান নিলের খুনি? নীল কি জীবিত আছে? বেঁচে থাকলেও সেকি নাস্তিক থাকবে নাকি ধর্মের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে আসবে? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে রয়েছে গল্পের সমাপ্তি। আর এমনই ইসলাম ও নাস্তিকতার দ্বন্দ্ব-বিচ্চ্যুতি আর ফিরে আসার অপেক্ষা নিয়ে ব্যতিক্রমী আমার এই উপন্যাস “ফেরার প্রতীক্ষা” - সাদীক রহমান