জানুন : কীভাবে প্রাচীন উত্তর শ্রীহট্ট দ্বীপিয় এলাকায় প্রথম রাজ্য স্থাপনকারী রাজা গোবিন্দ কেশব দেব নিজ ও তাঁর সৈন্য-সামন্তের বাসস্থান, কার্য্যালয় ইত্যাদির সুরক্ষায় নির্মিত গড়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ছোট শ্রীহট্ট রাজ্যকে উত্তরবঙ্গের সুপ্রাচীন ও ঐতিহাসিক বৃহত্তর গৌড়রাজ্যের ন্যায় আরেক গৌড়রাজ্য হিসেবে বর্ণনা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হল? মোগলদের তাড়া খেয়ে পালিয়ে এসে ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ যা তখনকার মুসলিমদের ভাষা আরবি/ফারসি ভাষায় বর্ণিত নাম তরফে আশ্রিত এলাকার প্রথম মুসলিম পাঠান শাসক ফতেহ খাঁ লোহানীকে হঠাৎ/ আচমকা আসায় কাল্পনিক হিন্দু রাজা আচকনারায়ণ বানানো হল এবং বর্ণিত তরফ এলাকাকে কিভাবে কাল্পনিক তুঙ্গাচল/রাজাপুর রাজ্য বানানো হল? শ্রীহট্টবিজয়ী প্রথম মুসলিম পাঠান শাসক ফতেহ খাঁ লোহানীর শাসনামলে আসা এবং শহরের আদি অংশ রাজার গড় এলাকা বর্তমান পীরমহল্লায় বসবাসসহ তথায় সমাধিস্থ এলাকার প্রথম ইসলাম ধর্ম প্রচারক হজরত ছৈয়দ জালাল (রহ.) মুলকে তুরানি এবং পরবর্তিতে মোগলামলে আসা ও শহরের রাজাগল্লি এলাকায় স্থাপিত দরগামহল্লায় সমাধিস্থ আরেক প্রখ্যাত ইসলাম ধর্ম প্রচারক হজরত শাহ-জালালের (রহ.) মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হল? শ্রীহট্ট রাজ্যের পরবর্তী পাঠান শাসক ভূঁইয়া বায়োজিদ এবং বাংলার মুগল সুবেদার ইসলাম খাঁর প্রখ্যাত সেনাপতি কামালের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক পাঠান-মোগল যুদ্ধকে হজরত শাহ জালাল (রহ.) এবং এলাকা থেকে বহু পূর্বেই বর্ণিত ফতেহ খাঁ লোহানী কর্তৃক তাড়িয়ে দেওয়া/পালিয়ে যাওয়া তবে এলাকায় প্রথম রাজ্য স্থাপনকারী রাজা গোবিন্দের মধ্যে কাল্পনিক যুদ্ধ বাঁধানো হল? ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গ-ভারতের প্রথম ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে তা সাম্প্রদায়িক হিসেবে জোর প্রচার করার সাথে সাথে বন্দোবস্ত না হওয়া প্রচুর পতিত ভুমি নিষ্কর বন্দোবস্ত নিতে নকল পীর/আউলিয়ার উদ্ভব হল এবং সর্বশেষে কীভাবে এ এলাকায় পারিবারিক উপাধি ও তার অপব্যবহার চালু হল-ইত্যাদি ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহের তত্ত্ব-ভিত্তিক আলোচনা-সমালোচনা।
Title
সঠিক তত্ত্ব নিয়ে মুক্তিযুদ্ধসহ বৃহত্তর সিলেটের সংক্ষিপ্ত প্রাচীন ইতিহাস