জ্বিন ও ইনসানের সর্বশেষ ঠিকানা জান্নাত ও জাহান্নাম। আল্লাহ তাআলা জ্বিন ও ইনসানকে তৈরি করেছেন তাঁর ইবাদাত করার জন্য। যে তাঁর উপর ঈমান আনবে, তাঁকে মানবে এবং তার কথামতো চলবে, তার শেষ ঠিকানা অনন্ত সুখের জায়গা জান্নাত। আর যে আল্লাহর উপর ঈমান আনবে না, আল্লাহকে মানবে না এবং তাঁর কথামতো চলবে না, তার শেষ ঠিকানা হবে অশেষ যন্ত্রণার স্থান জাহান্নাম। কুরআন ও হাদীসে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা এত বেশি পরিমাণে এসেছে যে, নিশ্চিত করেই বলা যায়; কুরআনের একতৃতিয়াংশ আখেরাত ও জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনায় পূর্ণ। মানুষ যেন জান্নাতে যাওয়ার আশায় হলেও আল্লাহর উপর ঈমান আনে এবং আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী চলে, আর জাহান্নামের ভয়ে হলেও কুফর-শিরক থেকে বেঁচে থাকে, সে জন্যই মূলত বারবার জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা কুরআনে করা হয়েছে। এছাড়াও কয়েক আয়াত পরপরই আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জান্নাত-জাহান্নামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। জান্নাত-জান্নামের বিস্তারিত বিবরণও দিয়েছেন। আর নবীজী সা.ও বারবার সাহাবায়ে কেরামের মাঝে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা করেছেন। তাদেরকে জান্নাত-জাহান্নামের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে দুনিয়াবিমুখ এবং আখেরাতমুখী বানানোর চেষ্টা করেছেন। বক্ষমাণগ্রন্থে কুরআনের আয়াত এবং হাদীসে নববী থেকে জান্নাত-জাহান্নামের আলোচনা সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আশা করি, কিতাবটি পড়ার দ্বারা মুসলিমদের ঈমান তাজা হবে এবং আখেরাতমুখী জীবন গড়া সহজ হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে জান্নাতের অধিবাসী বানান আর জাহান্নাম থেকে হেফাজত করুন। আমীন।