লেখকের কথা গীবত সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ যেন পরস্পরের গীবতে লিপ্ত না হয়। তোমাদের কেউ কি আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? অবশ্যই তোমরা তা ঘৃণা করবে। আল্লাহকে ভয় করো। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” (সূরা হুজুরাত: ১২) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “গীবত যিনা বা অবৈধ যৌনাচারের চেয়েও ঘৃণ্য-জঘন্য পাপ।” (শুআবুল ঈমান: ৯/৯৮, হাদিস নং-৬৩১৫) অন্যত্র ইরশাদ করেন, “গীবতকারী ও গীবত শ্রবণকারী উভয়ই সমান অপরাধী। (আদ্দুররুল-মানছূর: ৭/৫৭২) উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসদ্বয় দ্বারা নিঃসন্দেহে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, গীবত এমন এক জঘন্যতম পাপ; যা মানুষের ঈমান, আমল ও দুনিয়া-আখেরাত সব ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় হলো, নিজেদের অজ্ঞাতসারে আজ আমরা এই জঘন্যতম পাপেই সর্বদা নিমজ্জিত। এমনকি বিশিষ্ট বা সাধারণ; কেউই আমরা এ সর্বনাশা ব্যাধি বা জঘন্য পাপ থেকে মুক্ত নই। আজ সমাজের সর্বস্তরে এ সর্বনাশা ব্যাধি এমন মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে যে, এটিকে এখন আর কোনো পাপই মনে করা হয় না। সে পবিত্র অনুভ‚তিটুকুও মুছে গেছে আমাদের অন্তর থেকে। নেই কোনো অনুশোচনা। বিবেকের ঘটেছে অপমৃত্যু। বহুদিন থেকেই আমি গীবত সম্পর্কে একটি বই লিখব বলে আশা পোষণ করছিলাম। পবিত্র কুরআন-হাদিসের সতর্ক বাণীগুলোর মাধ্যমে যেন মানুষদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারি গীবতের ভয়াবহ পরিণতি। হয়তোবা এর ফলে ঘুমন্ত বিবেক ও পবিত্র অনুভ‚তি জাগ্রত হবে। অনুশোচনায় তাদের হৃদয় হবে দগ্ধ এবং এহেন জঘন্য পাপ থেকে নিজেকে হেফাজত করতে সচেষ্ট হবে মানুষ। পরিশেষে সেই মহান আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা জ্ঞাপন করে শুরু করছি; যিনি তাওফিক দানকারী এবং উত্তম সাহায্যকারী। আল্লাহ তায়ালা যদি অনুগ্রহ করে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস কবুল করেন, তবেই আমার সময়, শ্রম ও মেধা সার্থক হবে। -আহকার আব্দুল হাই