১৯৬৯ সাল। তখন সবে মাত্র আইয়ুব খান সরকার পদত্যাগ করেছে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাতাসে একটা ইলেকশন হবে হবে গুঞ্জন। ঠিক এই সময় মিনা পাল চট্টগ্রাম থেকে পড়াশোনা করতে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংগ্রামে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্রনেতা রফিকের সাথে ওখানেই পরিচয় এবং প্রণয়। কিন্তু রফিককে তার বন্ধু সাহেদের ছোটবোন বিথীও ভীষণ ভালোবাসে । অবশ্য এই কথা কখনোই বিথী প্রকাশ করার সুযোগ পায় না। তার আগেই আসে ৭১।।
মিনা পাল রফিকের সাথে থেকে একটু একটু করে জড়িয়ে পড়ে রাজনীতির সাথে, সংগ্রামের সাথে। তারপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ । মুক্তিযুদ্ধে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় সব। তছনছ করে দেয় জীবন যাপন। লন্ডভন্ড হয়ে যায় সব স্বপ্ন। তারপরও থেমে থাকেনি ওরা। রফিক যুদ্ধে যায়, মিনাও থেমে থাকেনি। একটা দুটো অপারেশনে অংশ নেয়। বিথীর জীবনে নেমে আসে বিভিষীকা।
গল্পের অপর অন্যতম চরিত্র বিথীর খালাতো ভাই ক্যাপ্টেন মাসুদ, যে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে এসে ধরা পড়ে। মাসুদের স্ত্রী মিলিকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যাম্পে।
কী ঘটেছিল ওদের জীবনে? ওরা কি পেরেছিল স্বাধীন দেশে নিজেদের পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে?
সমসাময়িক লেখক রুজহানা সিফাত পেশায় একজন শিক্ষিকা। তার লেখা উপন্যাসগুলো হলো- কালো দুর্গ ভূতবাড়ির উত্তরাধিকারী দীপ নেভা দ্বীপ নরক নগরী লাভলী বোর্ডিং বারুদের দিনরাত্রি তার লেখা লেখা প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। বান্ধাজিন তার লেখা প্রথম ভূত সংকলন