ফ্ল্যাপে লিখা কথা ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে সমর পালের অবদান এখন সকল মহলে নন্দিত ও স্বীকৃত। জন্ম নাটোর শহরের পালপাড়ায় ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর । বাবা প্রতাপচন্দ্র পাল ছিলেন শিক্ষক। মেধাবী ছাত্র হিসেবে সমর পাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে দেশসেবায় ব্রতী হন। বর্তমানে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সচিব।
অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং অধীত বিদ্যার সমন্বয়ে তিনি রচনা করেছেন ‘নাটোরের ইতিহাস’, ‘মহারাজা হাইস্কুলের জন্মকথা’ , ‘লোকসাহিত্য রৌমারী’, ‘তাহিরপুর রাজবংশ’, ব্রিটিশ ভারতে সংবাদপত্র দলন’, ‘বিষয় জল্পেশলিঙ্গ’,‘বরেন্দ্রভূমির সাহিত্য-প্রাচীনযুগ’, ‘উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য’, ‘উত্তর জনপদে লোকসংস্কৃতির আঙিনায়’, ‘অনাদৃত অধ্যায়, স্মৃতি-বিস্মৃতি, ধর্মকথা, প্রত্নকথা প্রভৃতি গ্রন্থ। বিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ নিয়ে এবং প্রশাসনের জটিল দায়িত্ব পালন করেও সমর পাল ঐতিহ্য-অন্বেষায় যে অবদান রেখেছেন তা উচ্চমূলে বিচার্য। প্রচারবিমুখ ও নিভৃতচারী এই গবেষকের নিষ্ঠা ও সততা প্রশংসার দাবি রাখে। কোনও রকম স্বীকৃতি ও পুরষ্কারের তোয়াক্কা না করেই তিনি রচনা করে চলেছেন অমূল্য গ্রন্থাবলি।
বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত। কৃতী গবেষক সমর পাল বর্তমানে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞ সদস্যপদে বৃত নাটোর শহরের প্রয়াত শিক্ষক প্রতাপচন্দ্র পাল ও সিদ্ধেশ্বরী পালের দ্বিতীয় পুত্র সমর পালের জন্ম। ১৯৫২ সালের ৩১ ডিসেম্বর। স্ত্রী দেবী পাল, দুই সন্তান-অর্ণব ও দীপ্র এবং পুত্রবধূ অনামিকাকে নিয়ে তার সাদামাটা সংসার ।। পরিসংখ্যানের ছাত্র হয়েও সমর পাল যৌবনকাল থেকেই ঐতিহ্য-চর্চা ও জাতীয় বােধের বিকাশে। অনন্য সাধক হিসেবে আদৃত সকল মহলে। তার নিষ্ঠা, একাগ্রতা, নানা ভাষার জ্ঞান ও সাধনা আমাদের জাতীয় গৌরব অন্বেষায় বিপুল আশার সঞ্চার করেছে । বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি, পরিসংখ্যান সমিতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান সমিতি, বাংলা একাডেমি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের জীবন-সদস্য সমর পাল ভ্রমণ করেছেন ভারত, নেপাল, জাপান, ইংল্যান্ড, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশের নানা ঐতিহ্যবাহী জনপদ। সমর পালের অন্যান্য গ্রন্থের মতাে এই নবতর সংযােজন বিপুলভাবে পাঠক-নন্দিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি ।।