২০২৩ এর ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, দেশে ঋণখেলাপির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে থেকে তিনি শীর্ষ ২০ খেলাপির ঋণতালিকা প্রকাশ করেন। পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেননি। বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে ২০২২ এর ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। ২০২১ এর ডিসেম্বরে ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি। তার আগে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। আর ঋণখেলাপির সংখ্যা ৩ লাখ ৩৫ হাজার। অর্থমন্ত্রী অ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০ সালে জাতীয় সংসদে ৮ হাজার ২৩৮ প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের তালিকা তুলে ধরেন। এই সংখ্যাগুলো বাড়ে বেশি, কমে খুবই সামান্য। ঋণখেলাপিদের তালিকা এর আগেও জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার ঝানু অর্থমন্ত্রীরা জাতীয় সংসদে পেশ করেন। কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুশিয়ারীও দেন। তবে তাতে সেরকম কাজ হয়নি। এর কারণ কি? এর প্রধান কারণ হলো- রাজনৈতিক ক্ষমতাবলয়ের সাথে ঋণখেলাপিদের নিবিড় ঘনিষ্ঠতা। সে কথাটিই বিভিন্ন তালিকা, তথ্য, উপাত্ত ও অকাট্য দৃষ্টান্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে বক্ষমান গবেষণামূলক সমীক্ষা ও গ্রন্থে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, জনগণ ও রাষ্ট্রের এই বিপুল পরিমাণ টাকা বছরের পর বছর কেন অনাদায়ী পড়ে থাকবে ? উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল কান্ডারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ। এর দ্বিতীয় প্রজন্মের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্টো রেল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ অনেক দৃশ্যমান সাফল্যলাভ হয়েছে। মানুষের বিশ^াস ও আশা, দেশপ্রেমিক এই জাতীয় নেতার হাত দিয়েই লাখ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণও পুনরুদ্ধার হবে। এবং দেশে শুরু হবে আরও মৌলিক সমস্যা নিরসন, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের উৎসব।