জীবননান্দ দাশ এবং জসীমউদ্দীন-জীবননান্দ দাশ এবং জসীমউদ্দীন-হাজার বছরের বাংলা কবিতার দুই উজ্জ্বল নাম। রবীন্দ্র-উত্তর কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিপ্রতিভার নাম জীবনানন্দ। বাংলা কবিতার ধারায় জীবনানন্দ সঞ্চার করেছেন প্রাতিস্বিক এক মাত্রা। কেবল কবি হিশেবেই নয়, সম্প্রতি জীবনানন্দ আলো ছড়াচ্ছেন কথাকোবিদ পরিচয়ে। জসীমউদ্দীনের সাধনাতেও খুলে গেছে বাংলা কবিতার নতুন এক দুয়ার। এই দুই লেখকের অন্তর্গত সত্তা ও শিল্পীচৈতন্যের পরিচয় পাওয়া যাবে ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষের বর্তমান গ্রন্থে। জীবনানন্দ এবং জসীমউদ্দীন ছাড়াও এখানে দু’মলাটে বন্দি হয়েছেন আরও কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক। এঁদের মধ্যে আছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু, সোমেন চন্দ, রণেশ দাশগুপ্ত, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্, আহমদ শরীফ, নীলিমা ইব্রাহিম প্রমুখ। এইসব শিল্পীর সামগ্রিক পরিচয় নয়, ডক্টর ঘোষ এখানে সন্ধানী আলো ফেলেছেন কতিপয় বিশেষ অনুষঙ্গের প্রতি। আমাদের ধারণা গ্রন্থভুক্ত প্রবন্ধগুচ্ছ থেকে পাঠক অর্জন করতে পারবেন নতুন এক অভিজ্ঞতার উত্তাপ। সাবলীল, প্রাতিস্বিক এবং অন্তর্লক্ষণে গীতল এক গদ্যে ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ সাজিয়ে তোলেন তার প্রবন্ধের শরীর। বর্তমান গ্রন্থে সচেতন পাঠক বাংলা সাহিত্যের কতিপয় বিষয় ও প্রবণতা সম্পর্কে নতুন ধারণা লাভ করবেন বলে আমরা মনে করি। হাজার বছরের বাংলা কবিতার দুই উজ্জ্বল নাম। রবীন্দ্র-উত্তর কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিপ্রতিভার নাম জীবনানন্দ। বাংলা কবিতার ধারায় জীবনানন্দ সঞ্চার করেছেন প্রাতিস্বিক এক মাত্রা। কেবল কবি হিশেবেই নয়, সম্প্রতি জীবনানন্দ আলো ছড়াচ্ছেন কথাকোবিদ পরিচয়ে। জসীমউদ্দীনের সাধনাতেও খুলে গেছে বাংলা কবিতার নতুন এক দুয়ার। এই দুই লেখকের অন্তর্গত সত্তা ও শিল্পীচৈতন্যের পরিচয় পাওয়া যাবে ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষের বর্তমান গ্রন্থে। জীবনানন্দ এবং জসীমউদ্দীন ছাড়াও এখানে দু’মলাটে বন্দি হয়েছেন আরও কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক। এঁদের মধ্যে আছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু, সোমেন চন্দ, রণেশ দাশগুপ্ত, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্, আহমদ শরীফ, নীলিমা ইব্রাহিম প্রমুখ। এইসব শিল্পীর সামগ্রিক পরিচয় নয়, ডক্টর ঘোষ এখানে সন্ধানী আলো ফেলেছেন কতিপয় বিশেষ অনুষঙ্গের প্রতি। আমাদের ধারণা গ্রন্থভুক্ত প্রবন্ধগুচ্ছ থেকে পাঠক অর্জন করতে পারবেন নতুন এক অভিজ্ঞতার উত্তাপ। সাবলীল, প্রাতিস্বিক এবং অন্তর্লক্ষণে গীতল এক গদ্যে ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ সাজিয়ে তোলেন তার প্রবন্ধের শরীর। বর্তমান গ্রন্থে সচেতন পাঠক বাংলা সাহিত্যের কতিপয় বিষয় ও প্রবণতা সম্পর্কে নতুন ধারণা লাভ করবেন বলে আমরা মনে করি।
Biswajit Ghosh, জন্ম ১৯৫৮ সালে, বরিশালে। ‘বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার রূপায়ণ’ বিষয়ে গবেষণার জন্য ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রি লাভ। ১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ। বর্তমানে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। বিশ্বজিৎ ঘোষ মূলত প্রাবন্ধিক-গবেষক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : বাংলাদেশের সাহিত্য (১৯৯১), নজরুলমানস ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (১৯৯৩), আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ (১৯৯৪), বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে নৈঃসঙ্গ্যচেতনার রূপায়ণ (১৯৯৭) ইত্যাদি। ২০১১ সালে গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ লাভ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। এছাড়া ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ বাংলা একাডেমির ‘ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক স্বর্ণপদক’, ‘জীবনানন্দ দাশ সাহিত্যপদক’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আবদুর রব চৌধুরী স্বর্ণপদক’, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত ‘মহাকবি মধুসূদন জাতীয় পদক’, ‘কবি নজরুল স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।