আল্লাহ তাআলা মানুষের মাঝে পরস্পর আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করে রেখেছেন। কিছু সম্পর্ক তো রক্তের। যেমন, মা-মেয়ে ও ভাই-বোন ইত্যাদি। আবার কিছু সম্পর্ক তো বৈবাহিক কারণে হয়ে থাকে। যেমন, স্বামী-স্ত্রী ও বউ-শাশুড়ি ইত্যাদি। আবার কিছু সম্পর্ক হলো শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গণকেন্দ্রিক। এ সম্পর্ককে বলা হয় ছাত্রী-শিক্ষিকার সম্পর্ক। মানুষ এ সম্পর্কগুলোর যে-কোনো একটি সম্পর্কে সম্পৃক্ত হয়ে থাকেই। আর এসব সম্পর্কের কারণে মানুষের ওপর কিছু দায়দায়িত্বও আরোপিত হয়। একে বান্দার হক বলা হয়। সবার আগে হলো মা-মেয়ের সম্পর্ক। এরপর একই মায়ের সন্তান হওয়ার কারণে ভাই-বোনের মাঝেও কিছু হক ও অধিকার আবশ্যক করে রেখেছে। অনুরূপভাবে বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে যেসব সম্পর্কগুলো সামনে আসে, তার মাঝে অন্যতম হলো স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। ইসলামি শরিয়ত স্ত্রীর ওপর স্বামীর কিছু হক আরোপ করেছে। আরেকটি সম্পর্ক হলো বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক। ঠিক তদ্রুপ শিক্ষা দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতেও অনেক হক সম্পৃক্ত হয়ে যায়। উপর্যুক্ত সম্পর্কগুলোর ভিত্তিতে আমাদের ওপর অনেক দায়-দায়িত্বও অর্পিত হয়ে থাকে। এসব সম্পর্কের কিছু স্পর্শকাতর দিকও রয়েছে। আর সেসব দায়িত্বগুলো পালন করার জন্য এবং সম্পর্কগুলোকে মজবুত করার জন্য অনেক উসুল ও মূলনীতিও রয়েছে। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে এসব হকসমূহের বিস্তর বিবরণ, কুরআনের আয়াত ও হাদিসভান্ডার হতে সংগৃহীত দিক-নির্দেশিকাগুলো সুন্দর সুন্দর উদাহরণ, হৃদয়কাড়া ঘটনা এবং সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা ও অভিজ্ঞতার আলোকে খুব সহজবোধ্য করে আকর্ষণীয় পন্থায় উল্লেখ করা হয়েছে।
জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি (জন্ম: ১ এপ্রিল ১৯৫৩) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং নকশবন্দি তরিকার সুফি। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের ‘ঝং’ জেলায় অবস্থিত মাহদুল ফাকির আল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালে ভারত ভ্রমণ করেন ভারতের হায়দরাবাদের ঈদগাহ বিলালী মনসাব ট্যাঙ্ক ও চঞ্চলগুদা জুনিয়র কলেজে কয়েকটি সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। তারপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। দারুল উলুম দেওবন্দের মসজিদে রশিদ এবং দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন।