হারুন অর রশিদ হিটলার, হিটলার হারুন, এইচ হিটলার এরকম নামে দীর্ঘদিন থেকে কবিতা লিখতে লিখতে অবশেষে মূলে ফিরেছেন তিনি। কবিতার মূলেও তিনি সাঁতার কাটছেন। হারুন অর রশিদ-এর ‘আগুন ও নিষিদ্ধ নারী’র পাÐুলিপি পাঠ করে এই প্রতীতী জন্মেছে, হ্যাঁ, কাব্যজগতে তাঁর আর্বিভাব নানা নামে হলেও তিনি এবার থিতু হতে পারবেন। তাঁর কাব্যভাষা সরল। শব্দচয়নও প্রচলিত তদ্ভবের মধ্যেই। কবিতাগুলোর মধ্যে যেমন সমাজ বাস্তবতা আছে, পাশাপাশি প্রেম ও প্রকৃতি উঠে এসেছে বেশকিছু কবিতায়। আছে স্মৃতিকাতরতা, যা সকল কবির মধ্যেই আমরা দেখতে পাই। কবি রাষ্ট্র ও প্রেমিকার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখেন না। দেখেন অবিনাশী আগুন। ‘রাষ্ট্র এবং প্রেমিকা’ কবিতায় তিনি বলেন, ‘দূরত্বেরও একটা ভয়াবহ আগুন আছে।’ আগুন বিষয়ে তাঁর আরেকটি পংক্তি, ‘তুই ছুঁয়ে দিলেই বুঝতে পারি কতটা আগুন নিয়ে বেঁচে আছি।’ হারুন অর রশিদ প্রথাবদ্ধ ছন্দবিমুখ হলেও তাঁর কবিতা নিটোল এবং গতিময়। দ্রোহচেতনার কবিতাগুলো বর্তমান সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। বহুবিধ বিষয় নিয়েই তাঁর ‘আগুন ও নিষিদ্ধ নারী’ কাব্যটি। কিন্তু প্রাধান্য পেয়েছে ‘প্রেম’। প্রেম তো অবিনাশী। কবি যখন বলেন, ‘নারী হচ্ছে পৃথিবীর শেষ ভগ্নাংশ’, তখন বুঝতে বাকি থাকে না হারুন অর রশিদ একজন জাত কবি বটে। মাহমুদ কামাল কবি, সাংবাদিক ও সংগঠক