সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদ বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে প্রাতিস্বিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন। নিজস্ব ধ্যান-ধারণা, প্রগতিশীল চিন্তা এবং মেধার সমন্বয়ে রচিত বৈচিত্র্যময় রচনা-সম্ভারের জন্য তিনি বাংলাদেশের সাহিত্যভুবনে স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত। সমাজ ও মানব-জীবনের নানা অসঙ্গতির পাশাপাশি জীবনের গভীরতর সত্য, রূঢ় বাস্তবতা এবং মানব-মনের তমসাবৃত অংশের রূপায়ণে তিনি বিশিষ্টতার পরিচয় দিয়েছেন, যা পাঠকদের সহজেই আকৃষ্ট করে। বর্তমান অভিসন্দর্ভ আলাউদ্দিন আল আজাদের উপন্যাসে নারী- পুরুষ সম্পর্কের স্বরূপ অনুসন্ধানের একটি প্রয়াস। নর-নারী সম্পর্কের একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়ার জন্য আমি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ চব্বিশটি উপন্যাস নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। এই গবেষণা-অভিসন্দর্ভ রচনার প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত সার্বিক তত্ত্বাবধান ও তথ্যগত সহায়তা পেয়েছি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, গবেষণা- তত্ত্বাবধায়ক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ কাহালির কাছ থেকে। তাঁর সঙ্গে আলোচনাসূত্রেই নির্ধারিত হয়েছে স্নাতকোত্তর শ্রেণির এই অভিসন্দর্ভটির শিরোনাম ও সামগ্রিক গঠনবিন্যাস। তাই স্যারের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা অনিঃশেষ। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আলাউদ্দিন আল আজাদের সহধর্মিণী জামিলা আজাদকে, দীর্ঘক্ষণ তাঁর সান্নিধ্য আমাকে উপকৃত করেছে। তাঁর সাক্ষাৎকার অভিসন্দর্ভের পরিশিষ্টে সংযোজিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারের শিরোনামও তিনিই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ঔপন্যাসিক সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য দিয়ে তিনি আমার অভিসন্দর্ভকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করেছেন। আমার সহপাঠীদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি। এছাড়া কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের এবং বাংলা বিভাগের সেমিনারের অফিসার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি; যাঁরা আমার প্রত্যাশিত বই খুঁজে দেয়ার পরিশ্রম স্বীকার করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি মুদ্রাক্ষরিক মোঃ রবিউল আলমকে, যিনি সময়মত অভিসন্দর্ভটির কম্পোজের কাজ করে দিয়েছেন। মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতেই অভিসন্দর্ভটি রচনার কাজ শেষ করতে পেরেছি। আমার বাবা-মায়ের অপরিসীম ভালবাসা ও যত্ন, শ্বশুর-শাশুড়ির স্নেহ, বড় বোন এবং ভাইয়ের অকুণ্ঠ উৎসাহ ও অবদানের জন্যই গবেষণাকর্ম সঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পেরেছি। কন্যাসম অবোধ ভাগ্নি আলভীন গবেষণার কোনো উপকরণ নষ্ট না করে আমার কাজ চালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। সবশেষে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার সকল উদ্বেগ ও আনন্দের সঙ্গী মোঃ আতোয়ার রহমান-এর প্রতি, যার হার্দিক সহযোগিতা ও ত্যাগ এই অভিসন্দর্ভ রচনার কাজটি সহজতর করেছে। পরিশেষে বলতে চাই, আলাউদ্দিন আল আজাদের উপন্যাসে নারী-পুরুষ সম্পর্কের স্বরূপ সন্ধানে আমার এই গবেষণাকর্ম যদি বিন্দুমাত্র সহায়ক হয়, তাহলেই আমার উৎসাহ ও পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।